করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা মেনে আগামী ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে সভা-সমাবেশ ও জনসমাগম না করার নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ সময় অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক হলগুলো খোলা থাকবে বলে জানানো হয়।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘মন্ত্রিপরিষদ থেকে জারীকৃত প্রজ্ঞাপনের আলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম ২১ জানুয়ারি আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
তবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক সহযোগিতায় অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ’ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসসমূহ সীমিত পরিসরে সকাল ০৯টা থেকে বেলা ০১টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে। জরুরি পরিষেবাসমূহ (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ইন্টারনেট, স্বাস্থ্যসেবা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি) যথারীতি অব্যাহত থাকবে। শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ আবাসস্থলে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অবস্থান করার পরামর্শ দেওয়া হলো।
ক্যাম্পাসে সভা, সমাবেশ ও জনসমাগম না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করা হলো। ’ এদিকে আজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. সাবিরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২১ জানুয়ারি থেকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে; সামাজিক-রাজনৈতিক-ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ১০০ এর বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না।
এসব ক্ষেত্রে যারা যোগদান করবে তাদের অবশ্যই টিকা সনদ, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর সার্টিফিকেট আনতে হবে। সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্প-কারখানাসমূহে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকা সনদ গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দায়িত্ব বহন করবেন।
বাজার, শপিং মল, মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশনসহ সব ধরনের সমাবেশে অবশই মাস্ক ব্যবহারসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী মনিটর করবে। উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে দীর্ঘ ১৮ মাস পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার খুলে দেওয়া হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন