ভুয়া পরোয়ানায় কারাবাস, ৩২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পেলেন আওলাদ

ভুয়া পরোয়ানায় কারাবাস, ৩২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পেলেন আওলাদ
MostPlay

ভুয়া পরোয়ানায় ৬৮ দিন কারাবাসে থাকা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রোগ্রাম অফিসার আওলাদ হোসেন ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩২ লাখ টাকা পেয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশে প্রথম কোনো ব্যক্তি বিনা অপরাধে জেল খাটার ঘটনায় ক্ষতিপূরণ পেলেন। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। একই সঙ্গে ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা রিট আবেদনের ওই মামলা ভুক্তভোগী আর পরিচালনা করবেন না বলেও আদালতকে জানানো হয়।

জানা যায়, নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগে কক্সবাজারে করা একটি মামলায় ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর আওলাদকে আশুলিয়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেদিন আওলাদকে ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়। জামিন আবেদন করলে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তা নামঞ্জুর করে নথিপত্র কক্সবাজারের আদালতে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর একের পর এক গ্রেফতারি পরোয়ানা দেখিয়ে বিভিন্ন কারাগারে রেখে এক আদালত থেকে আরেক আদালতে হাজির করা হয় আওলাদ হোসেনকে।

পরে তাকে বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়নি, তা নিশ্চিতে হাইকোর্টে হাজির করার জন্য নির্দেশনা চেয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে রিট করেন আওলাদের স্ত্রী। আওলাদের স্ত্রীর করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ‘ভুয়া ওয়ারেন্ট কারা ইস্যু করে’ তা খুঁজতে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে রুলও জারি করা হয়। নির্দেশ অনুযায়ী সিআইডি ভুয়া পরোয়ানা তৈরি চক্রের সঙ্গে জড়িত দানেশ ঢালীসহ ১০ জনকে শনাক্ত করে।

চক্রের সদস্যদের মধ্যে মামুন হাওলাদার, শেখ বদরুল ইসলাম টিপু, আলমগীর খান, সুমন ও এমদাদ অন্যতম। ওই রুল শুনানির ধারাবাহিকতায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করেন আওলাদ। শুনানি শেষে আওলাদ হোসেনকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ লাখ টাকা দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ৩১ জানুয়ারি রুল জারি করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) রিপোর্টে উঠে আসা ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানার সঙ্গে জড়িতদেরসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। হাইকোর্ট। ওই রুল বিচারাধীন অবস্থায় দানেশ ঢালী আওলাদ হোসেনকে ৩২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password