নওগাঁর মান্দায় হাসপাতাল থেকে হাফিজা খাতুন (২৬) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে আজ মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। নিহত হাফিজা খাতুন বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের হুলিবাড়ী গ্রামের আকাশ হোসেনের স্ত্রী ও কালিকাপুর গ্রামের ছামসুল আলমের মেয়ে। এ ঘটনায় বাবা ও ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
তাঁরা হলেন নিহত হাফিজা খাতুনের স্বামী আকাশ হোসেন (২২) ও তার শ্বশুর ইয়াছিন আলী (৫৫)। নিহত হাফিজার বাবা ছামসুল আলম বলেন, ‘তিন মাস আগে পারিবারিকভাবে মেয়ে হাফিজাকে হুলিবাড়ী গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে আকাশ হোসেনের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় জামাই আকাশ হোসেনকে মোটা অঙ্কের যৌতুক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের কয়েক দিন পর থেকে আরো দুই লাখ টাকার দাবিতে মেয়ের ওপর নির্যাতন শুরু করে জামাই ও তার পরিবারের লোকজন।’
তিনি আরো বলেন, গত শুক্রবার একই দাবিতে মেয়েকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেয় স্থানীয়রা। গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোবাইলফোনে জানতে পারি মেয়ে হাফিজা খুব অসুস্থ, হাসপাতালে নিতে হবে। সংবাদ পেয়ে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পাই। তাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’ মামলার বাদী অভিযোগ করে জানান, যৌতুকের দাবিতে তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে জামাইসহ পরিবারের সদস্যরা। জামাই আকাশ হোসেনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনে নিহতের বাবা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওসি আরো বলেন, ঘটনায় নিহতের স্বামী আকাশ হোসেন ও শ্বশুর ইয়াছিন আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন