যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সামনেই ছাত্রলীগের হাতাহাতি

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সামনেই ছাত্রলীগের হাতাহাতি
MostPlay

গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সামনেই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। প্রতিমন্ত্রী তাৎক্ষণিক সাময়িকভাবে তাদের নিবৃত্ত করলেও তিনি অনুষ্ঠান শেষে চলে যাওয়ার পর আবারও ক্যাম্পাসে কয়েক দফায় হাতাহাতিতে লিপ্ত হয় ছাত্রলীগ।

জানা গেছে, কলেজের উদ্যোগে শনিবার বিকেলে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক এবং ইনডোর গেমস সপ্তাহের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী প্রধান অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি প্রার্থী নিলয় চন্দ্র সরকার কিছু নেতাকর্মী নিয়ে প্রতিমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় ছাত্রলীগ শাখা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিক্ষানবিশ চিকিৎসক (ইন্টার্ন) আল-আমিন তাঁর সমর্থক নেতাকর্মীদের নিয়ে তাঁদের প্রতিহত করেন।

এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিমন্ত্রী তাঁদের ধমক দিয়ে নিবৃত্ত করলেও অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী চলে গেলে ফের তাঁদের মধ্যে ধাওয়াধাওয়ি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে কলেজের শিক্ষকরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সভাপতি প্রার্থী ছোট নেতা বড় নেতাকে টপকিয়ে প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিতে গেলে একে অপরকে জামা টেনে ধরেন।

এক পর্যায়ে কিছু বুঝে ওঠার আগে ঘুষির ঘটনা ঘটে। পরে প্রতিমন্ত্রী ধমক দিয়ে তাঁদের থামিয়ে দেন। সভাপতি প্রার্থী নিলয় চন্দ্র সরকার বলেন, অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে শেষ হয়েছিল। শেষ পর্যায়ে এমন ঘটনাটি ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত। কলেজ ছাত্রলীগ শাখা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিক্ষানবিশ চিকিৎসক আল-আমিন বলেন, বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেছে। অধ্যক্ষ স্যার বিষয়টি নিয়ে পরে বসবেন।

ছাত্রদের মধ্যে অন্তঃকোন্দলের কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। অনুষ্ঠাস্থলে একজন বেয়াদবি করায় তিনি প্রতিবাদ করেছেন মাত্র। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুল কাদের বলেন, 'আল-আমিন পাস করে এখন ইন্টার্নি করছে। নতুনরা কমিটি চাচ্ছে। এই নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে।' এর আগে, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যালের পরিচালক তপন কান্তি সরকার, মেডিক্যাল কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মুশফিকুর রহমান, কলেজের শিক্ষার্থী নিলয় চন্দ্র সরকার, মিজানুর রহমান, প্রদীপ্ত স্বাক্ষর জয় প্রমুখ।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password