ভাই চা খরচা দিচ্ছি তবুও এসব তুলে ধরেন না

ভাই চা খরচা দিচ্ছি তবুও এসব তুলে ধরেন না

ভাই চা খরচা দিচ্ছি তবুও এসব কথা তুলে ধরেন না। দীর্ঘ্য একমাস অনুসন্ধান করার পরে কাদিয়াল দিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাও: নওসাদ আলম এর বক্তব্য নিতে গেলে এভাবেই বলেন প্রতিবেদক কে।

অনুসন্ধানে উঠে এসেছে নওগাঁর পত্নীতলার কাদিয়াল সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাও: নওসাদ আলম ও সহকারী শিক্ষক আসলাম আলীর অনিয়ম ও দূর্ণীতির চিত্র। ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ না হতেই গোপনভাবে পকেট কমিটি গঠন করে ডিজি প্রতিনিধির সাক্ষর জাল করে আয়া, নিরাপত্তা কর্মী, পরিচ্ছন্নকর্মী ও গ্রন্থাগার মোট চারটি পদে কোটি টাকার নিয়োগ বানিজ্য, সহকারী শিক্ষক আব্দুল মুত্তালিব অবৈধ নিয়োগ বানিজ্যের প্রতিবাদ করতে গেলে মিথ্যা অভিযোগ এনে শিক্ষা নীতিমালাকে উপেক্ষা করে সাময়িক বহিষ্কার করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্ণীতির চিত্র উঠে এসেছে। এমন অনিয়ম ও দূর্ণীতির ফলে আজ ধ্বংসের পথে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। তাদের এমন অনিয়ম ও দূর্ণীতিতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীরা।

১০ জানুয়ারী কাদিয়াল সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করেছে। প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে গত ৩১ অক্টোবর ২০১৮ সালে মো: আব্দুর রকিব কে সভাপতি করে দুই বছরের জন্য পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। যে কমিটির মেয়াদ ছিলো ৩১ অক্টোবর ২০২০ সাল পর্যন্ত। কিন্তু কমিটির মেয়াদ শেষ না হতেই নয় মাস পূর্বে মহামারী করোনা ভাইরাসের সময় ১৭ মার্চ ২০২০ সালে এডহক কমিটি না করেই মো: আবুল হোসেন কে সভাপতি করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।

এই কমিটি গঠন কে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসন ও জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হলে, তদন্তের দায়িত্ব পড়ে তৎকালীন পত্নীতলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুসহাক আলীর নিকট। তিনি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে কাদিয়াল সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাও: নওসাদ আলম ও সহকারী শিক্ষক আসলাম আলীর এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন। এসকল অনিয়ম ও দূর্ণীতির প্রতিবাদ করায় অত্র মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আব্দুল মুত্তালিব কে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ তুলে ২০ মে ও ১৫ জুলাই শুক্রবার দিনে দুটি কারণদর্শানো নোটিশ দেন সুপার মাও: নওসাদ আলম। নোটিশের সঠিক জবার দিলেও সহকারী শিক্ষক আব্দুল মুত্তালিব কে শিক্ষানীতি মালা কে উপক্ষো করে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

এবিষয়ে অত্র এলাকার শাহাবুল ইসলামসহ অত্র এলাকার গণমাণ্য ব্যক্তি বলেন, এক সময় আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটি অত্র এলাকার একটি নামকড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলো। শারীরিক শিক্ষক আসলাম আলী আসার পর তারই অসৎ বুদ্ধিতে সুপার নওসাদ আলম একের পর এক অনিয়ম আর দূর্ণীতি করেই চলছে। যদি কেউ এর প্রতিবাদ করে তাহলে তাকে বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। আজ আমাদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের দারপ্রান্তে। আমরা এসব দূর্ণীতিবাজ শিক্ষকদের কঠোর শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।

কাদিয়াল সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাও নওসাদ আলম এর সাথে তার অনিয়ম ও দূর্ণীতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাই আপনারা এই নিউজটি করেন না। আপনাদের চায়ের জন্য খরচা দিয়ে দিচ্ছি।

এবিষয়ে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: রুমানা আফরোজ এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, এবিষয়ে একটি তদন্ত আসছে আমার কাছে। তদন্তের মাধ্যমেই প্রকৃত ঘটনা উঠে আসবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password