অণ্ডকোষে সেফটিপিন গাঁথা যুবকের মরদেহ উদ্ধার

অণ্ডকোষে সেফটিপিন গাঁথা যুবকের মরদেহ উদ্ধার
MostPlay

ছেলে ও স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসার পরদিনই রহস্যজনকভাবে ওই যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। শুধু তা-ই নয়, মৃতের অণ্ডকোষে ফোটানো ছিল সেফটিপিন। শরীরের নিম্নাংশ ভেসে যাচ্ছিল রক্তে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার শান্তিপুর থানার ফুলিয়ার মাঠপাড়া এলাকায়।

যদিও ওই যুবকের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে পুলিশ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের দিকে চেয়ে রয়েছে। মৃতের নাম মলয় বসাক। বয়স আনুমানিক ৪০। তিনি নদিয়ার ফুলিয়ার মাঠপাড়ার বাসিন্দা। পেশায় একজন টোটোচালক। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মলয়ের অণ্ডকোষে সেফটিপিন ফুটিয়ে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে মলয় তার আট বছরের ছেলে এবং স্ত্রীকে নিজেই পৌঁছে দিয়ে এসেছিলেন তার শ্বশুরবাড়িতে। সেদিন রাত প্রায় সাড়ে ১২টা নাগাদ বাড়ি ফেরেন মলয়। শুক্রবার সারাদিন বাড়িতে একাই ছিলেন। সন্ধ্যার পর তার স্ত্রী বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর কাছে যান। ঘরের ভেতর স্বামীর মরদেহ দেখেন। মলয়ের মৃত্যু যে স্বাভাবিক নয়, তা স্পষ্ট।

তিনি দেখেন, স্বামীর দেহ ঝুলছে। অণ্ডকোষে লাগানো সেফটিপিন। তাকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। মলয়ের মা মালতী বসাক থাকেন তার মেয়ের বাড়িতে। রোজগার করে সংসার চালানোর জন্য তিনি নিজে ছেলেকে টোটো কিনে দিয়েছিলেন। ছেলের সঙ্গে তার পুত্রবধূর ঝগড়া বা অশান্তি হতো কি না, তা তিনি স্পষ্ট জানেন না।

স্থানীয়দের দাবি, স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থাকতে পারে বলে মলয় সন্দেহ করতেন। তাই স্ত্রীর সঙ্গে খুব একটা বনিবনা ছিল না। মাঝেমধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হতো। যদিও কী নিয়ে অশান্তি হতো, তা স্পষ্ট নয়। মলয়ের মৃত্যুতে একাধিক প্রশ্ন ভিড় করেছে। মলয় আত্মহত্যা করেছেন, নাকি তাকে খুন করা হয়েছে?

স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে মলয় যদি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যাই করে থাকেন, তাহলে তার অণ্ডকোষে সেফটিপিন ফোটানো কেন? এ ছাড়া মলয় বসাককে যদি খুনই করা হয়ে থাকে, তাহলে তার কারণ কী? খুনিই বা কে? পুলিশ মৃত মলয়ের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মলয় বসাকের পর্নের প্রতি আসক্তি ছিল বলেই দাবি তার স্ত্রীর। তবে কি যৌন উত্তেজনার বশে এই কাজ করেছেন মলয়—এমন প্রশ্নও উঠছে।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password