দেশে মানসিক রোগে আক্রান্ত ১৭ শতাংশ নাগরিক

দেশে মানসিক রোগে আক্রান্ত ১৭ শতাংশ নাগরিক
MostPlay

দেশে ১৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়ষ্ক নাগরিক এবং ১৩ শতাংশ শিশু কোনো না কোনো ভাবে মানসিক রোগে আক্রান্ত। মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে প্রাণহানির সংখ্যা করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর তুলনায় ও বেশি। তবুও এদেশে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবেলা ও চিকিৎসায় বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপ ২০১৮-১৯ এর চিত্রে পাওয়া গিয়েছে দেশের প্রায় ১৭ শতাংশ মানুষ মানসিক সমস্যায় ভুগছে যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি। পূর্বে ২০০৩-২০০৫ এ এধরনের জরিপে দেখা গিয়েছিল যে প্রায় ১৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক বিভিন্ন মানসিক সমস্যায় ভুগছে। 

দেশে মানসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্যসেবার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে যার ফলে নাগরিকেরা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে সর্বোচ্চ অধিকার ভোগ করতে পারছেনা। 

গত ২৫শে আগস্ট বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এক ভার্চুয়াল সভায় এই তথ্য তুলে ধরা হয় যেটি আয়োজন করেছিল ব্রাক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা।  ব্রাক তাদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবার কৌশল এ অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করে। অনুষ্ঠানে ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা মতামত রাখেন যে - বাংলাদেশে শতকরা ১৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মধ্যে প্রয়োজনীয় মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে আমাদের। মানসিক স্বাস্থ্য শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে জনগণ এবং সরকারকে সমন্বিত ভাবেই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং তাহলেই এই সমস্যার দ্রুত মোকাবেলা করা সম্ভব। 

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password