‘আম্ফান’,প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে
প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে মৌসুমের প্রথম ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’। ধারণা করা হচ্ছে, শুরুতে এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূল হয়ে ধীরে ধীরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ এর প্রভাবে রোববার (৩ মে) ভোর থেকে সৃষ্ট মেঘের ঘনঘটায় শুরু হয় হালকা বৃষ্টি, যা মুষলধারে রূপ নেয় সকাল ৯টার পর। ঘন্টাব্যাপী ভারি বর্ষণের পর পায় বিরতি।
এসময়েই জমে থাকা পানিতে নগরের বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বৃষ্টি আরও ২দিন অব্যাহত থাকতে পারে। একটানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা থাকলেও এ মৌসুমে তার সম্ভাবনা নেই বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমেদ।
তিনি বলেন, বজ্রসহ বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া থাকবে ২ দিন। এটি মৌসুমি বৃষ্টি। ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।এদিকে ধেয়ে আসা বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড়টির উৎপত্তিস্থল ও গতিপথ নিয়ে আবহাওয়াবিদদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে এটি যে যথেষ্ট শক্তিশালী এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানবে-তা নিয়ে সকলেই একমত প্রকাশ করেছেন।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ আগামী ৫ মে এর পর তার গতিপথ কোনদিকে পরিবর্তন করে সেদিকেই চেয়ে আছেন আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা।আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের বেশ কিছু এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’। সেটি দেশের উপকূলীয় পটুয়াখালি, বরিশাল, বরগুনা, লক্ষীপুর ও ফেনীতে ক্যাটাগরি-৪ মাত্রার শক্তি নিয়ে আঘাত করতে পারে। যদিও ঘূর্ণিঝড়টি সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি-৩ মাত্রার হবে এবং ক্যাটাগরি-২ মাত্রার শক্তি নিয়ে সুন্দরবনে আঘাত হানতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টি মধ্য বঙ্গোপসাগরে এসে শক্তি সঞ্চয় করতে পারে এবং যতই উত্তর পশ্চিমে অগ্রসর হবে ততই শক্তি অর্জন করতে থাকবে। এটি উড়িষ্যা উপকূলের কাছাকাছি সর্বোচ্চ শক্তি অর্জন করতে পারে-এমন পর্যবেক্ষণও রয়েছে বলেও আবহাওয়াবিদরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন