দেশে করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছে এমন ৪০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে (সংক্রমণ রোধে কোনো একটি স্থানে আবদ্ধ করে রাখা) নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব মোহাম্মদ আসাদুল ইসলাম।আজ সোমবার (০৯ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এসব তথ্য জানান তিনি।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, আমরা কন্ট্র্যাক্ট ট্র্যাকিং করি। আক্রান্তরা কার সঙ্গে মিশেছে, কোন বাজারে গিয়েছে, কোথায় বসে চা খেয়েছে। এইভাবে করো প্রথম জনের জন্য ৪০ জন ট্র্যাক করেছি। তাদের কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করেছি।
একজনের জন্য ৪০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে, অন্য দুজনের জন্য কতজনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে- এ বিষয়ে সচিব বলেন, ‘এটার কোনো গড় অঙ্ক নেই। কার সঙ্গে মিশেছেন, কন্ট্রাক্ট হয়েছে, তাদের লোকাল লেভেলে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এটার সুনির্দিষ্ট সংখ্যা বলতে পারব না।’
আক্রান্ত দেশগুলো থেকে মানুষ আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেই সব বিষয়ে আমরা প্রথম থেকেই অ্যাডভাইস করছিলাম। যেখানে বেশি প্রাদুর্ভাব হয়েছে সেখান থেকে যেন কম লোক আসে। এমনকি আমাদের যারা ওসব দেশে আছে তারাও যাতে যাতায়াত রেস্ট্রিকটেড করে দেয়, সে বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছিলাম।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্কুল-কলেজ বন্ধ করার মতো অবস্থা এখনো সৃষ্টি হয়নি। তবে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আপাতত বড় ধরনের জমায়েত এড়িয়ে চলতে হবে। সবাইকে সাবধান থাকতে হবে।
এই সচিব আরও বলেন, সরকার প্রথম থেকেই সচেতন ছিল। তিন স্তরে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে যাতে করোনাভাইরাস না ছড়ায়। সেসময় সাংবাদিকেরা জানতে চান, ইতালি থেকে আক্রান্তরা তাহলে কীভাবে দেশে এলেন? এর জবাবে তিনি বলেন, ‘ভাইরাসের ধরনগুলো জানা দরকার। সব সময় থার্মাল স্ক্যানারে ধরা পড়ে না। ১০০ জনকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। সব দেশের অন অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ করা হয়েছে।’
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন