লকডাউনে অবরুদ্ধ দেশে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা–বাণিজ্য চাঙ্গা করতে আর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় দফার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে চলেছে কেন্দ্র। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে ইতিমধ্যে ছ’বার বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রকের আজই খসড়া প্রস্তাবে সায় দেওয়ার কথা। অর্থ মন্ত্রকের পাঁচ সচিবের ওই প্রস্তাবে চূড়ান্ত কিছু সংযোজনের পরেই আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করবে সরকার।
যেভাবে তোড়জোড় চলছে, তাতে ২০ মে–র মধ্যে সব মহানগরে বাস, ট্রেন, অটো, ট্যাক্সি চালু হওয়ার কথা। অবশ্যই কোভিড–১৯–এর প্রোটোকল নিশ্চিত করে তবেই। সরকারি সূত্রের খবর, জনসাধারণের সুবিধার্থেই ওই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ওই সূত্র জানিয়েছে, ১ জুন থেকে ধাপে ধাপে খুলবে শপিং মল, সিনেমা হল, অনুষ্ঠান বাড়ি, ধর্মীয় স্থান। এ প্রসঙ্গে রাজ্যগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করার পথে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
১৭ মে তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হতেই উড়ান পরিষেবার চালুর বিষয়ে কিছু পরিকল্পনা করেছে দিল্লি বিমানবন্দর। পরিকল্পনা অনুযায়ী, মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, বারবার হাত ধোয়ার কথা যাত্রীদের মনে করিয়ে দিতে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার হবে।
যাত্রীদের বাড়িতেই বোর্ডিং পাসের প্রিন্টআউট নিতে বলা হবে। এতে বিমানবন্দরে অযথা জমায়েত রোখা যাবে। বারবার নানা হাতের ছোঁয়া লাগে যেমন ট্রলি, ওয়াশরুম, জল ভরার জায়গা, কাউন্টার, টাচ স্ক্রিন, কমিউনিকেশন স্ক্রিন, লিফট, ট্র্যাভেলেটর, সিকিউরিটি স্ক্রিনিং এরিয়া বারবার সাফ করে জীবাণুমুক্ত করা হবে।
যাত্রার আগে এবং গন্তব্যে পৌঁছনোর পর যাত্রীদের ট্রলি ও ব্যাগ স্যানিটাইজ করা হবে। বিমানবন্দরের সমস্ত গেটে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে কি না, দেখতে ম্যানেজারদের দায়িত্ব দেওয়া হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সিআইএসএফ এবং অভিবাসন আধিকারিকদেরও কড়াভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বিমানে আসন বরাদ্দ হবে এক যাত্রীর সঙ্গে সহযাত্রীর যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে।
বিমানবন্দরের সব কর্মীকে পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস, ফেস শিল্ড দেবেন কর্তৃপক্ষ। রোজ প্রত্যেক কর্মীর দেহের তাপমাত্রা দেখা হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন