মিরপুরে আ’লীগ নেতার গোপন বৈঠক থেকে চার মাদকাসক্ত গ্রেপ্তার

মিরপুরে আ’লীগ নেতার গোপন বৈঠক থেকে চার মাদকাসক্ত গ্রেপ্তার

রাজধানীর মিরপুরে মাত্রাধিক মাদক সেবন করে মাদকাসক্ত অবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে দেলু,সুলতান,বাবু ও তোফাজ্জল নামে চার মাদকসবীকে আটক করেছে শাহ্ আলী থানা পুলিশ। ২ জানুয়ারী (বৃৃৃহস্পতিবার) দিবাগত রাতে মিরপুরের চিড়িয়াখানা রোডস্থ ৮ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টার থেকে আটক করা হয়।

আটককৃতদের সকলেই ঢাকা মহানগর উত্তরের ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান শেখের অনুসারী ও এই ওয়ার্ডের আ’লীগের নেতাকর্মী হিসেবে পরিচিত।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দেয়া তথ্যে জানা গেছে,আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে (ডিএনসিসি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আব্দুল মান্নান শেখের উদ্যোগে আয়োজিত নির্বাচনী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গোপন ঘরোয়া বৈঠকের শেষভাগে বিভিন্ন প্রকার মাদক সেবনের বিশেষ আয়োজন করা হয়। এসময় অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারনে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বেসামাল হয়ে হট্টগোল বাধিয়ে দেয় মাদকসেবী মাতালরা। পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ও হট্টগোলের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি মাতালদের মধ্যে বেধরক হাতাহাতি শুরু হয়ে গেলে স্থানীয়রা শাহ্ আলী থানা পুলিশকে খবর দেয়।

খবর পেয়ে শাহ্ আলী থানা পুলিশের একটি আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে পৌছে সুলতান,দেলু,তোফাজ্জল ও বাবু নামে চারজনকে আটক করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বাকীরা।

এদিকে নিজের সহোচরদের নির্দোষ দাবি করে ছাড়িয়ে নিতে তীব্র শীত উপেক্ষা ও কোনোকিছুরই তোয়াক্কা না করে তাৎক্ষণিক ওই গভীর রাতেই তদবির করতে থানায় হাজির হন ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি ও আসন্ন সিটি নির্বাচনে ডিএনসিসির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সতন্ত্র কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শেখ আব্দুল মান্নান।

প্রভাবশালী নেতা হিসেবে প্রভাব খাটিয়ে মিরপুরের বিশিষ্ট জুয়া ও মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা হিসেবে শেখ আব্দুল মান্নানকে কে না চিনে? এর আগে মান্নান শেখের জুয়ার আসরে অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজামুদ্দিনের নেতৃত্বে একমাস করে সাজা দন্ডপ্রাপ্ত ২১ জনের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলো এই দেলু।

কিন্ত শাহ্ আলী থানার অফিসার ইনচার্জ সালাউদ্দিন মিয়া শেখ আব্দুল মান্নানের এমন অনৈতিক তদবিরকে পাত্তাই দেননি। আটককৃতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আব্দুল মান্নানকে সোজাসাপটা জানিয়ে দেন ওসি সালাউদ্দিন মিয়া। গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করেও থানায় পাত্তা না পেয়ে অবশেষে সেখান থেকে ফিরে যান আব্দুল মান্নান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাহ্ আলী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মেহেদী হাসান জানান,আটককৃতদের সবাইকে আসামী করে মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যথাযথ নিয়মানুযায়ী তাদেরকে আদালতে পাঠানো হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password