এপ্রিলে কালবৈশাখীর সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় ও তাপপ্রবাহের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিতে বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান ও অধিদফতরের পরিচালক সামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বুধবার (১ এপ্রিল) সভা শেষে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
সামসুদ্দিন আহমেদ জানান, এপ্রিল মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ১-২টি নিম্নচাপ সৃষ্টি ও এরমধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
‘এ মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে ২-৩ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি বা তীব্র কালবৈশাখী ঝড় ও দেশের অন্যত্র ৪-৬ দিন বজ্র ও শিলা বৃষ্টিসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।’
সামসুদ্দিন আহমেদ আরো জানান, এপ্রিলে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ১টি তীব্র তাপপ্রবাহ (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং অন্যত্র ১-২টি মৃদু (৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
‘এপ্রিল মাসে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন ভারতীয় অংশে ভারি বৃষ্টিপাতজনিত কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কতিপয় স্থানে আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।’
আবহাওয়া অফিস জানায়, গেল মার্চ মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৬০ দশমিক ১ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে রংপুর বিভাগে স্বাভাবিক বৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিমা লঘুচাপের সঙ্গে পূবালী বায়ু প্রবাহের সংযোগ ঘটার ফলে চার দফায় বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী দমকা ও ঝড়ো হাওয়া হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হয়েছে। এ সময় কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হয়েছে।
আর বাংলাদেশ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় তাপীয় লঘুচাপের উপস্থিতির কারণে ২৭-৩১ মার্চ বিভিন্ন স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। এ সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ মার্চ ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয় ফরিদপুর ও ২৮ মার্চ চাঁদপুরে। এ মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭ মার্চ রেকর্ড করা হয় টেকনাফে ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সীতাকুণ্ড, ফেনী, রাঙামাটি, মাইজদীকোর্ট, রাজশাহী ও পাবনা অঞ্চলসহ ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। তবে আগামী ৫ দিনের পূর্বাভাসে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টির আভাস দিয়েছে অধিদপ্তর।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন