নিরাপত্তার কারণে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বসানো হচ্ছে শরীর তল্লাশি মেশিন বা বডি স্ক্যানার। আর এ মেশিন দিয়ে যাত্রীর বডি স্ক্যান করতে দেড় থেকে দুই সেকেন্ড সময় লাগবে বলে জানিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলেন, মেশিনটি বসানো হলেও এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি।সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ বিডিটাইপকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) দেওয়া বডি স্ক্যানার ইতোমধ্যে বিমানবন্দরে বসানো হয়েছে। আরও কিছু কারিগরি কাজ বাকি রয়েছে। এগুলো শেষ করার পর কার্যক্রমে যাবো।
তিনি বলেন, বডি স্ক্যানার ছাড়াও ইতোমধ্যে বেশকিছু টেকনিক্যাল পরিবর্তন এসেছে বিমানবন্দরে। দ্রুত সেই কাজগুলো সম্পন্ন করা হবে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বডি স্ক্যানার ছাড়াও সাত/আটটি নতুন লাগেজ স্ক্যানার এসেছে বিমানবন্দরে। পরিবর্তন করা হয়েছে অভ্যন্তরে বিমানের কাউন্টার। সূত্র আরও জানায়, সম্প্রতি সিলেট-লন্ডনের ম্যানচেস্টার সরাসরি বিমানের ফ্লাইট চালু হয়েছে। গত ৬ জানুয়ারি ম্যানচেস্টার থেকে আসা ফ্লাইট বোয়িং-৭৮৭ ‘সোনার তরী’ সিলেটে নামে। ২৯৮ যাত্রী ধারণক্ষমতার প্লেনটি ২৯৭ জন যাত্রী নিয়ে সিলেটে অবতরণ করে।
ফলে সিলেট ওসমানী বিমানন্দর থেকে আরও সরাসরি ফ্লাইট চালুর জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে কিছুদিন ধরে ঢাকা থেকে আসা ২৫ জনের একটি টিম কাজ করছে। এছাড়া রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ের শক্তি বাড়াতে ৪৫১ কোটি ৯৭ লাখ ৭৩ হাজার টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, সবধরনের অস্ত্র ও বিস্ফোরক প্রবেশ ঠেকাতে দেশের প্রধান তিন বিমানবন্দর শাহজালাল, শাহ আমানত ও সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরে অত্যাধুনিক বডি স্ক্যানার ‘প্রোভিশন ২’ বসানো হচ্ছে।এর আগে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপনের জন্য আনা অত্যাধুনিক বডি স্ক্যানারটি পরীক্ষামূলকভাবে পর্যবেক্ষণ করেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
জাইকার অর্থায়নে সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দর, ঢাকার হযরত শাহজালাল ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ স্ক্যানারটি স্থাপন করা হচ্ছে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, এ স্ক্যানারটিতে প্রবেশ করলেই একজন যাত্রীর জামাকাপড় বা শরীরের ভেতর লুকিয়ে রাখা যেকোনো ধরনের অস্ত্র ও বিস্ফোরক শনাক্ত করা যাবে। এছাড়া মেটালিক, নন-মেটালিক, উয়েপন্স, স্ট্যান্ডার্ড ও হোম মেড বিস্ফোরক (শিট ও বাল্ক), লিকুইডস, জেলস, প্লাস্টিকস, পাউডারস, সিরামিক এতে ধরা পড়বে। একজন যাত্রীকে স্ক্যান করতে সময় লাগবে দেড়-দুই সেকেন্ড।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন