ঢাকা ১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ( হিরো আলম)এর উপর অনাকাঙ্ক্ষিত হামলা

ঢাকা ১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ( হিরো আলম)এর উপর অনাকাঙ্ক্ষিত হামলা
ঢাকা ১৭ আসন হলো বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৩০০ টি নির্বাচিত এলাকার একটি।এটি ঢাকায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ১৯০ নং আসন। ঢাকা ১৭ আসনটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৫,১৮,১৯,ও ২০ ওয়ার্ড এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানার ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত। ঢাকা ১৭ আসনের ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩ লাক্ষ ২৫ হাজার ২০৫ জন।এর মধ্যে নারী প্রায় ১লাক্ষ ৫৩ হাজার ২০৫ জন। ঢাকা ১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছে ৮ জন। আওয়ামী লীগের মোঃ আলী আরাফাত , জাতীয় পার্টির সিকদার আনিসুর রহমান,জাকের পার্টির মোঃ রাশিদুল হাসান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোঃ রেজাউল ইসলাম স্বপন ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মোঃ আকবর হোসেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন মোঃ আশরাফুল আলম এবং মোঃ তারেকুল ইসলাম ভূঁইয়া। গত ১৭ তারিখ সোমবার অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা ১৭ আসনের উপনির্বাচন সম্পূর্ণ দিন সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে গেলেও হঠাৎ বিকেলের দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আশরাফুল আলম এর উপর হামলার ঘটনা ঘটে। বনানীর বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজ ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করতে গিয়ে তিনি এসময় মিডিয়ার সাংবাদিকদের সামনে অভিযোগ করেন সে ও তার প্রতিনিধি দের ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে তাদের ভোট কেন্দ্রে ডুকতে দেওয়া হয় নি ও তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে এবং নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলে জানিয়েছেন।তার কিছুক্ষণ পরে তার উপর অতর্কিত হামলা হয় তাকে পিছন থেকে চড় থাপ্পড়,লাথি ও ঘুষি মারা হয় হামলা থেকে বাঁচতে তিনি দৌড়ে পালান তার সহকর্মীরা ও সমর্থকরা তাকে হামলা স্বীকার থেকে বাঁচতে গিয়ে তারাও কিছুটা আহত হন। সে হামলার স্বীকার হয়ে অজ্ঞান অবস্থায় তার সহকর্মীরাও সমর্থকরা যত দ্রুত সম্ভব তাকে নিয়ে ঘটনা স্থল ত্যাগ করেন। আহত অবস্থায় তিনি রামপুরায় বেটার লাইফ হসপিটালের জরুরী বিভাগে ভর্তি হন সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা রাজীব জানান“ সে আহত হয়েছে গুরুতর কোন সমস্যা নেই, ডিহাইড্রেশন এর কারনে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান তাকে সুস্থ করার জন্য যথা যথ চিকিৎসা চলছে ভয়ের কোন কারন নেই”। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আশরাফুল আলম এর সহকর্মীরা মিডার সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন বর্তমানে ক্ষমতায় থাকা সরকারি দল তাদের উপর হামলা করে। এঘটনায় নির্বাচন কমিশন সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তরে বলেন “তারা সি সি টিভির মাধ্যমে ঢাকা ১৭ আসনের উপনির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতার নজরদারি রাখছেন”, আরো বলেন “স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আশরাফুল ইসলাম আলম তিনি প্রায় ৭০ জন ইউটিউবার ও তার সমর্থক নিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন”। এটি শুনার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আশরাফুল আলম এই বিষয় টি অস্বীকার করেন এবং বলেন “ তার সমর্থকরা সবাই সাদা টিশার্ট পরিহিত অবস্থায় ছিলো এবং সে কোন অবাঞ্চিত লোক নিয়ে ভোট কেন্দ্র প্রবেশ করতে চায়নি উল্টো তাদের প্রতিনিধি ও তাকে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে ”। এবিষয়ে নির্বাচন কমিশন জানান “তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আশরাফুল আলম এর করা অভিযোগ টি নিয়ে তদন্ত করবেন” এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ।এদিকে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন " তিনি নিজে ভোট দিতে এসে কোন বিশৃঙ্খলা দেখেন নি এবং প্রার্থীদের কোন প্রতিনিধি কোন কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বা অন্য কোন বিশৃঙ্খলার খবর তিনি পাননি ”। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আশরাফুল আলম এর আনা অভিযোগ এর উপর ভিত্তি করে এ ঘটনায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন “ প্রতিনিধি বের করে দেওয়া হয়েছে প্রার্থী বললেই কি তা সঠিক!!, তা যাচাই করতে হবে” তিনি আরো বলেন “ প্রতিনিধি বের করে দেওয়া ঘটনাকে তিনি প্রচার বলে দাবি করেন এবং এগুলো বললে প্রচার হয়” । আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোঃ আলী আরাফাত স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আশরাফুল আলম এর উপর হামলার ঘটনায় উক্ত ঘটনা সম্পর্কে বলেন “আজকে ঢাকা ১৭ আসনের উপনির্বাচনে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত নির্বাচনকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করছে একটি মহল বলে তিনি মনে করেন। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং তিনি প্রশাসনের কাছে দাবি করেন যে যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত এবং সম্পৃক্ত তাদের কে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় আনা হোক যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা নির্বাচনকে ঘিরে না ঘটে । স্বতন্ত্রের দুই প্রার্থী মোঃ আশরাফুল আলম ও মোঃ তারেকুল ইসলাম ভূঁইয়া উভয়ে নির্বাচন ও ভোট সুষ্ঠু হয়নি দাবি করে নির্বাচন বর্জন করেন। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন ।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password