গোবরের কেজি ৩০০,৫০০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে গোমূত্র

গোবরের কেজি ৩০০,৫০০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে গোমূত্র

করোনা ভয়ে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। বিভিন্ন দেশে এর প্রতিষেধক আবিস্কারের কথা শোনা গেলেও এখনো বাজারে আসেনি এবং তা বাজারে আসতে আরো যে বেশ কয়েক মাস লেগে যেতে পারে তা অনেকটাই নিশ্চিত। কিন্তু ভারতে গোমূত্র ও গোবর খেয়েই করোনা প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছেন অনেকে!ভারতীয় গণমাধ্যম এবিপি আনন্দের খবরে বলা হয়েছে, করোনা থেকে মুক্তি দেবে গোমূত্র। এমন বিশ্বাসের উপর ভর করে দোকানের সামনে টেবিল পেতে বসেছেন শেখ মাবুদ আলী নামের এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের শিল্প শহর ডানকুনিতে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ মাবুদ ব্যবসা নিয়ে যথেষ্ট সিরিয়াস। কাগজে ইংরেজি, বাংলায় লিখে দিয়েছেন, তার এই গোমূত্র, গোময় করোনা সারানোর মহৌষধ। পরীক্ষা প্রার্থনীয়। মুখে শুধু বলছেন না, কেউ কৌতূহলী হয়ে দেখতে এলে ছোট্ট গ্লাসে করে ধেলেও দিচ্ছেন চেখে দেখার জন্য। সঙ্গে দিচ্ছেন আশ্বাস, করোনা সেরে যাবে।

গাই গরুর মূত্র ৪০০ রুপি প্রতি লিটার, বকনার ৫০০ রুপি প্রতি লিটার। গোবরও ৫০০ রুপি কেজি। জার্সি গরু খাঁটি দিশি নয়, ভেজাল আছে। তাই তার মূত্রের দাম কম, ৩০০ রুপি লিটার। গোবরও তাই, ৩০০ রুপি/কেজি। তবে দাম নিয়ে চাপাচাপি নেই, কেউ কেনার আগ্রহ দেখালে ৩০০ রুপির গোমূত্র ২০০ রুপি ডিসকাউন্ট দিয়ে ১০০ টাকায় ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে শেখ মাবুদ বলেছেন, এরই মধ্যে দুই জন কিনে ফেলেছেন তার এই দাওয়াই। কেউ কেউ আবার চেখে নিচ্ছেন। পছন্দ হলে পরে এসে নিয়ে যাবেন। শেখ মাবুদের বাড়িতে দুটো গরু আছে। তিনি দুধের ব্যবসাই করে থাকেন। তবে এবার গোমূত্র ও গোবর বিক্রির এই মওকা ছাড়তে রাজি নন তিনি।

তিনি আরও জানান, হিন্দু মহাসভার গোমূত্র পার্টি থেকেই তিনি এই ব্যবসায় অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত শনিবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই পার্টির আয়োজন করে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা নামের একটি সংগঠন। সেখানে গোমূত্র ও গোবর খাওয়া পার্টিতে ২০০ মানুষ অংশ নেয়। আয়োজকদের বিশ্বাস, গোমূত্রে কিছু ঔষধি গুণ আছে। তবে বিশেষজ্ঞরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছেন, ক্যানসার বা এজাতীয় রোগ নিরাময়ে গোমূত্র কোনো কাজে আসে না। আর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এটি কাজ করবে এটা তো অবান্তর ভাবনা।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password