কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিলল দেড় কোটি টাকা

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিলল দেড় কোটি টাকা

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স তিন মাস ২০ দিন পর আবারও খোলা হয়েছে। এবার দানবাক্স খুলে ১ কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮ টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়াও সোনা, রূপাসহ বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া গেছে।শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়। টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার তত্ত্বাবধানে প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

দানবাক্সগুলো খোলার পর টাকাগুলো প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনার কাজ। বিকেলে গণনা শেষে দানের টাকার হিসাব পাওয়া যায়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা  বিডিটাইপকে জানান, সাধারণত তিন মাস পরপর মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার তিন মাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। পরে টাকাগুলো গুনে নগদ ১ কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮ টাকা পাওয়া যায়।

তিনি আরও জানান, টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে। আর যে স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে তা আগের স্বর্ণালঙ্কারের সঙ্গে যোগ করে দানের সিন্দুকে রেখে দেওয়া হয়েছে।  এছাড়াও দানে পাওয়া গবাদিপশু ছাগল, হাঁস-মুরগি প্রতি সপ্তাহেই নির্ধারিত দিনে নিলামে বিক্রি করা হয়।সর্বশেষ গত বছরের ২৬ অক্টোবর মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে গণনা করে ১ কোটি ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৮ টাকা পাওয়া যায় বলেও জানান তিনি।

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে। 

সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন। দানবাক্সে পাওয়া টাকা সাধারণত কমিটি, জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলদের পরামর্শে বিভিন্ন মসজিদে দান-খয়রাত, মাদ্রাসার উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়ে থাকে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password