বিশ্বের সকল দেশ আমাদের বাহিনীর প্রশংসা করে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার সকালে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির ৭৭তম দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশন প্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত কুচকাওয়াজে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, একটি স্বাধীন দেশে সেনাবাহিনীর গুরুত্ব অপরিসীম। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সেনাবাহিনী দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের সকল দেশ আমাদের বাহিনীর প্রশংসা করে। দেশকে ভালোবাসতে হবে। দেশের সম্মান বাড়াতে হবে।
তিনি আরো যোগ করেন, বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব দিক থেকে অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত, স্বয়ংসম্পূর্ণ, চৌকস এবং পেশাগতভাবে দক্ষ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার দেয়া প্রতিরক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী আওয়ামী সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের বাহিনীকে আধুনিকভাবে গড়ে তোলার জন্য ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং তা বাস্তবায়ণের কাজ শুরু হয়েছে।
এ সময় নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে দেশের সম্মান আরও উজ্জ্বল করতে নবীন সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
এর আগে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির ৭৭ তম বি এম এ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের ক্যাডেটদের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে যোগ দিতে রোববার সকালে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীর মিলিটারি একাডেমিতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
শুরুতেই ৩ বছরের শিক্ষা সমাপনী প্যারেড পরিদর্শন, অভিবাদন গ্রহণ এবং সুসজ্জিত বাহিনীর কুঁচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর ৭৭ তম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সে সোর্ড অব অনার ও সেরা চৌকস ক্যাডেট সাবির নেওয়াজ শাওন এবং সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণপদক অর্জনকারী মোহাম্মদ বরকত হোসেনের হাতে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে ২৩৪ জন বাংলাদেশী, ২৯ জন সৌদি, ১ জন ফিলিস্তিনি, ১ জন শ্রীলংকানসহ মোট ২৬৫ জন ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের মধ্যে ৭৭তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সে ২০৭ জন পুরুষ, ২৭ জন মহিলা ক্যাডেট রয়েছেন।
কুচকাওয়াজে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধান, আঞ্চলিক অধিনায়কসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, মন্ত্রী-সংসদ সদস্য, কূটনীতিক ও শিক্ষা সমাপনী ব্যাচের কমিশনপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন