দক্ষিণ সুদানে ‘বাংলাদেশ রোড’

দক্ষিণ সুদানে ‘বাংলাদেশ রোড’

দক্ষিণ সুদানে একটি সড়কের নাম রাখা হয়েছে ‘বাংলাদেশ রোড’। সম্প্রতি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সড়কটির উদ্বোধন করা হয়েছে। দেশটির বহুল প্রচারিত রেডিও মিরায়া এবং জাতীয় দৈনিক জুবা মনিটর এসংক্রান্ত খবর প্রচার করেছে। সড়কটি অনলাইন ডিজিটাল ম্যাপ ও আনমিস অফিশিয়াল ম্যাপেও হালনাগাদ করা হয়েছে। সড়কটি নির্মাণও করেছেন সেখানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সেনারা। স্থানীয় জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ব্যান-ইঞ্জিনিয়ার (কনস্ট্রাকশন)/১৯ সড়কটি নির্মাণ করে।

২০১১ সালের ৯ জুলাই পৃথিবীর মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ ঘটে স্বাধীন দেশ দক্ষিণ সুদানের। জন্মের পর থেকেই অভ্যন্তরীণ সংঘাত ও গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে দেশটি। অশান্ত দক্ষিণ সুদানে শান্তি ফেরাতে জাতিসংঘের হয়ে কাজ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেনা সদর জানায়, দক্ষিণ সুদানে শান্তি রক্ষা ও সেখানে জাতিসংঘ মিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার কন্টিনজেন্ট-১৯।

মৌলিক অধিকার বঞ্চিত দুর্গম অঞ্চলের মানুষদের প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার কন্টিনজেন্ট-১৯ দেশটির ২৫৬ কিলোমিটার দীর্ঘ মুন্দ্রি-মারিদি-ইয়াম্বিয় নামের প্রধান মহাসড়ক সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের দায়িত্ব পায়। কাজ চলাকালে মুন্দ্রি কাউন্টির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর তাবান জ্যাকসন ক্যাম্প কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং স্থানীয় কিছু গ্রামভিত্তিক অনুন্নত এলাকার সঙ্গে ‘মুন্দ্রি-মারিদি’ মূল সড়কের সংযোগ সড়ক নির্মাণের অনুরোধ জানান। বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার কন্টিনজেন্ট-১৯ স্থানীয় জনসাধারণের সাহায্যার্থে ‘হাই তিরিরি’ নামের গ্রাম ও ‘মুন্দ্রি-মারিদি’ মূল সড়কের মাঝে একটি সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে দেয়।

এর ফলে হাই তিরিরির সঙ্গে মুন্দ্রি শহরের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হয়। সড়কটির নামকরণ হয় ‘বাংলাদেশ রোড’ হিসেবে। সড়কটি নির্মাণের ফলে ওই এলাকায় জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণসহ শিশুদের স্কুলে যাতায়াত ও জনসাধারণের চলাচলে সুবিধা হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password