রাজধানীর এক গৃহবধূর আত্মহত্যা

রাজধানীর এক গৃহবধূর আত্মহত্যা
MostPlay

রাজধানীর খিলক্ষেতে মারিয়া আক্তার খুশি (১৯) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। খিলক্ষেত থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামসুল হক সরকার জানান, শুক্রবার গভীররাতে স্থানীয় বটতলা এলাকার একটি বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। শনিবার সকালে তার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এসআই শামসুল জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে খুশি আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে আসল ঘটনা জানা যাবে। তদন্ত চলছে। নিহতের স্বামী মাহমুদুল হক রিফাত জানান, আট মাস আগে আমাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বাবা চোখের ডাক্তার দেখাবেন বলে আমার বাবা-মা বাসায় এসেছেন। সকালে আমার স্ত্রীকে নাস্তা বানাতে বলেন আমার মা।

তখন সে বলে, আমি রুটি বানাতে পারি না। এ কথা বলে সে আবার শুয়ে পড়ে। পরে আমি উঠলে আমার সঙ্গে সে আবার ওঠে। তিনি জানান, চিকিৎসকের পরামর্শে মা সকালে ব্যায়াম করছিল। এতে তার কাপড় সরে যাওয়ায় খুশি মাকে কর্কশ ভাষায় কাপড় ঠিক করতে বলে। এতে মা রেগে যান। পরে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।

পরে সকালে কর্মস্থল গুলশানে অফিসের যাওয়ার বাসায় থেকে বের হচ্ছিলাম। এ সময় খুশি বলে, আমি বাড়িতে যাব, আমাকে টিকিট কেটে দাও। তিনি জানান, অফিসে যাওয়ার পর আমি তাকে কয়েকবার ফোন করি। তা বন্ধ পাই। পরে আমার পাশের ফ্ল্যাটের বন্ধুকে করি। সন্ধ্যার দিকে বন্ধু মোবাইলে জানায়, খুশি দরজা খুলছে না।

পরে গুলশানের অফিস থেকে তড়িঘড়ি মোটরসাইকেলে বাসা এসে দরজা ধাক্কা দিলে ভেতর থেকে সাড়াশব্দ নেই। পরে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে দেখি স্ত্রী খুশি ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেচাঁনো অবস্থায় ঝুলছে। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।

নিহত খুশির বাবা মামুনুর রশিদ জানান, শুক্রবার বিকেলে মোবাইলে মেয়ে খুশি মোবাইলে তার মাকে বলে বাড়িতে আসবে। আমি বললাম, কয়েকদিন আগেই তো বেড়িয়ে গেল, এখন কেন আসবে। আমি জামাইকে ফোন করি, সে বলল কাগজপত্র তুলতে যাবে। পরে জামাই বলে সে যদি এ বার যায় আমি তাকে নিয়ে আসব না।

পরে মেয়ে খুশি ফোন করে বলি, কয়েকদিন পরে এসো, এখন আসার দরকার নাই। পরে রাতে শুনি আমার মেয়ে মারা গেছে। সে এবার এইচএসসি পাস করেছে।

অনেক মেধাবী ছিল। তিনি বলেন, আমার একটাই মেয়ে। যদি সে নিজেই আত্মহত্যা করে থাকে। তাহলে কোনো অভিযোগ নাই। যদি তাকে হত্যা করা হয়। তাহলে এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password