ম্যারাডোনার সমাধি পাহারায় পুলিশ মরদেহ চুরি ঠেকাতে

ম্যারাডোনার সমাধি পাহারায় পুলিশ মরদেহ চুরি ঠেকাতে
MostPlay

কোটি ভক্তের হৃদয়ে ক্ষত সৃষ্টি করে দিয়াগো ম্যারাডোনা এখন গভীর নিদ্রায়। এখনও শোকে ভাসছে পুরো বিশ্ব। আর ফুটবল ভক্তরাতো এখনও মেনেই নিতে পারছেন না দিয়াগো আর পৃথিবীতে নেই। ২৫ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৬০ বছর বয়সে পরপারে পাড়ি জমান আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ উপহার দেয়া এই জাদুকর ফুটবলার।

পাগল ভক্ত সমর্থক কিংবা সমাধি চুরি চক্রের হাত থেকে ম্যারাডোনার মৃত দেহকে বাঁচাতে এখন কঠোর পুলিশি পাহারা বসাতে হয়েছে আর্জেন্টিনার আভ্যন্তরিক নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষকে।

বুয়েন্স আয়ার্সের উপশহরে সমাধিস্থল ভেলা ভিস্তায় মা-বাবার পাশে শায়িত করা হয় দিয়েগো ম্যারাডোনাকে। সেখানেই এখন ২০০ সশস্ত্র পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করেছে আর্জেন্টিনা সরকার। ব্রিটিশ মিডিয়া দ্য সান এমন খবরই জানিয়েছে।

কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, অন্ধ সমর্থকরা ম্যারাডোনার সমাধি ভেঙে ফেলতে পারে। প্রিয় তারকাকে স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে নিজের কাছে মমি করে রাখতে চুরি করতে পারে তার দেহ কিংবা দেহের কোনো অংশ বিশেষ। এ কারণে, অন্তত এক সপ্তাহ ভেলা ভিস্তা সমাধিস্থলকে কঠোর পাহারার মধ্যে রাখার ব্যবস্থা করেছে আর্জেন্টিনা কর্তৃপক্ষ।

আর্জেন্টিনা কর্তৃপক্ষের ম্যারাডোনার সমাধিতে চুরির ব্যাপারে শঙ্কা তৈরির কারণও রয়েছে। ১৯৮৭ সালের ঘটনার যেন পূনরাবৃত্তি না ঘটে, সে কারণেই এই সশস্ত্র পাহারার ব্যবস্থা করেছে তারা। ১৯৮৭ সালে সাবেক আর্জেন্টাইন প্রেসিডেন্ট হুয়ান পেরনের সমাধি ভেঙে তার দেহ চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল কিছু অন্ধ ভক্ত।

হুয়ান পেরন ছিলেন আর্জেন্টিনায় তুমুল জনপ্রিয় একজন প্রেসিডেন্ট। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে আর্জেন্টিনাজুড়ে। তার শেষ যাত্রায় ভক্তরা মাতম করতে শুরু করেন। ফুল আর চোখের পানিতে বিদায় দিয়েছিলেন তারা তাদের প্রিয় প্রেসিডেন্টকে। পরে দেখা গেলো, কোনো এক অন্ধ ভক্ত প্রিয় প্রেসিডেন্টের দেহখানা চুরি করে নিয়ে গেছে।

হুয়ান পেরনের শেষ যাত্রায় যেভাবে ভক্তরা শোক প্রকাশ করেছিল, ঠিক একইভাবে ম্যারাডোনার শেষ যাত্রায়ও বুয়েন্স আয়ার্সের রাজপথে শোক প্রকাশ করতে দেখা যায় ভক্ত-সমর্থকদের। এমনকি কিছু উগ্র সমর্থক শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াও হয়।

এসব দৃশ্য দেখে, আর্জেন্টিনা সরকার শঙ্কিত হয়ে পড়ে, ম্যারাডোনার মৃত দেহটাকে না আবার সমাধি ভেঙে চুরি করে নিয়ে যায়! এ কারণেই মূলতঃ সশস্ত্র পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে সমাধিস্থল ঘিরে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password