জামায়াত-হেফাজতের সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী সন্ত্রাসী রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের দাবি

জামায়াত-হেফাজতের সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী সন্ত্রাসী রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের দাবি
MostPlay

শহীদজননী জাহানারা ইমামের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ৩ মে (২০২১) বিকেল ৩টায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে। এর বিষয় ছিল ঃ ‘সকল কওমি মাদ্রাসা সরকারের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে’। উক্ত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। সভাপতিত্ব করেন ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির।

সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্মূল কমিটির সহসভাপতি শিক্ষাবিদ শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা ও ডাকসুর প্রাক্তন ভিপি অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, নির্মূল কমিটির সহ সভাপতি শিক্ষাবিদ কলাম লেখক মমতাজ লতিফ, নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য কথাশিল্পী অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোট-এর সভাপতি হাফেজ মওলানা জিয়াউল হাসান, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব মাওলানা হাসান রফিক, নির্মূল কমিটির বহুভাষিক সাময়িকী জাগরণ-এর যুগ্ম সম্পাদক সুইডেন প্রবাসী লেখক সাংবাদিক সাব্বির খান, নির্মূল কমিটির সর্ব ইউরোপীয় শাখার সাধারণ সম্পাদক যুক্তরাজ্যের মানবাধিকারকর্মী আনসার আহমদউল্লা, নির্মূল কমিটির অস্ট্রেলিয়া শাখার সভাপতি মানবাধিকারকর্মী একরাম চৌধুরী, নির্মূল কমিটির ফিনল্যান্ড শাখার আহ্বায়ক শিক্ষাবিদ ড. মুজিবুর দফতরী ও নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল।

আলোচনা সভার সভাপতি শাহরিয়ার কবির সূচনা বক্তব্যে ৯২তম জন্মবার্ষিকীতে শহীদজননী জাহানারা ইমামের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব বানচালের উদ্দেশ্যে হেফাজত-জামায়াতের দেশব্যাপী মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস ও ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হয়েছেÑ জাহানারা ইমামের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার নাগরিক আন্দোলন এখনও কতটা জরুরি। বিলম্বে হলেও সরকার বর্তমানে হেফাজতের জঙ্গী নেতাদের গ্রেফতারের মাধ্যমে মৌলবাদী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে, যা অভিনন্দনযোগ্য। তবে জঙ্গী মৌলবাদী সন্ত্রাসের বিষবৃক্ষ জামায়াত-হেফাজতের রাজনীতি নিষিদ্ধ না হলে বাংলাদেশ থেকে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস নির্মূল করা যাবে না।’

শাহরিয়ার কবির আরও বলেন, জামায়াত-হেফাজতীরা বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বা পাকিস্তানের মতো জঙ্গী মৌলবাদী সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানাবার জন্য কওমি মাদ্রাসার নিরীহ ছাত্রদের ব্যবহার করছে। পঁচিশ হাজারের বেশি কওমি মাদ্রাসার তিরিশ লক্ষাধিক ছাত্র-শিক্ষককে আমরা জামায়াত-হেফাজতের সন্ত্রাসী রাজনীতিক অভিলাষ পূরণের জন্য তাদের কাছে জিম্মি রাখতে পারি না। হেফাজতের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের পাশাপাশি কওমি মাদ্রাসায় সরকারের পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশে পৃথক পৃথক আলিয়া-কওমি-নূরানি মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার কোনও প্রয়োজন নেই। সব মাদ্রাসায় একই পাঠ্যসূচি প্রচলন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-চেতনা, জাতির পিতার জীবনী, বাংলাদেশের সংবিধান, বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্য পাঠ, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন সকল মাদ্রাসায় বাধ্যতামূলক করতে হবে।’

প্রধান অতিথির ভাষণে শিক্ষামন্ত্রী ডঃ দীপু মনি বলেন, ‘শহীদজননী জাহানারা ইমামের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলন আমাদেরকে সবসময় উজ্জ্বীবিত করে। আমরা যখন কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন, ২০১০ সালের শিক্ষানীতি অনুসরণ করার চেষ্টা করছি তখন কওমি মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থীদের জাতিবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী নারীবিদ্বেষী গুজবের কারখানা হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের চূড়ান্ত অপব্যবহার করছে স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা একমুখী, বিজ্ঞানভিত্তিক, অসাম্প্রদায়িক শিক্ষাব্যবস্থার চিন্তা দেখতে পাই। কিন্তু সেই শিক্ষাভাবনা নিয়ে আমরা আর এগুতে পারিনি ’৭৫-এর বঙ্গবন্ধু হত্যার পর স্বাধীনতাবিরোধী, একাত্তরের পরাজিত মৌলবাদী গোষ্ঠীর রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণের মাধ্যমে দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক শিক্ষার বিস্তারে।

সামাজিক আন্দোলনের মানুষ হিসেবে সত্য মিথ্যার হিসাব করা সহজ। কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক সময় তা সহজ নয়। নতুন যে কারিকুলাম হচ্ছে তার ভিত্তি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু। এই মুহূর্তে একবারে একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা সম্ভব নয়। কিন্তু সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছি, একটি দেশের মধ্যে যেন দুটো জাতি গড়ে না ওঠে। যে মূল্যবোধের কারণে বাঙালি হিসেবে আমরা গর্ব করিÑ অসাম্প্রদায়িক মানবিকতা, পরমতসহিষ্ণুতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমরা শিক্ষা আইন ও শিক্ষানীতি প্রণয়ন করছি। লক্ষ লক্ষ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে মূলধারায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমান স্বীকৃতি দিয়েছিলেন ।

মানুষ শুধু দরিদ্রতার কারণে নয়, ধর্মের কারণেও সন্তানকে কওমি মাদ্রাসায় ভর্তি করেন। এই বাস্তবতাও আমাদের বুঝতে হবে। আমাদের সবার দায়িত্ব সমাজে সচেতনতার ক্ষেত্র তৈরি করা। মাদ্রাসাগুলোতে ধর্মীয় শিক্ষা না জিহাদের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে তা সম্বন্ধে বাবা মাকে জানাতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই যথাসময়ের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাংলাদেশকে তার লক্ষ্যে পৌঁছে দেবেন। সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সহজ হবে।

নির্মূল কমিটির সহসভাপতি শিক্ষাবিদ শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, জামায়াত-হেফাজতের একমাত্র উদ্দেশ্য ক্ষমতায় যাওয়া ও বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করে স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করা। হাটহাজারী মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন কওমি মাদ্রাসায় বিপুল সংখ্যক জঙ্গীরা এজন্য প্রস্তুত আছে বলে আমরা জানি। কিন্তু তারা ৩০ লক্ষ শহীদ ও প্রায় সোয়া ৪ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশে আমরা তা মেনে নেব না। মাদ্রাসার ছাত্ররা পাকিস্তানি ভাবধারায় গড়ে উঠছে। শিক্ষার মূলধারায় তাদের আনতে হবে। আমার প্রস্তাব বর্তমানে অন্তর্ভুক্ত ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ বিষয়টির নাম রাখা হোক ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’। উচ্চপর্যায় পর্যন্ত এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাহলে মুক্তিযুদ্ধবিরোধিতার সুযোগ থাকবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে বহু বছর আন্দোলন করেছি। এখন আন্দোলনে নামতে চাইÑ দেশবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচার করতে হবে।’

নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা ও ডাকসুর প্রাক্তন ভিপি অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন-এর একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তনের কাজ ’৭৫-এর পরে পরিবর্তন হয়ে যায়। মাদ্রাসায় শিক্ষা সরকারের সুবিধাপুষ্ট, কিন্তু তারা সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। তারা কী পড়াচ্ছে, কী শেখাচ্ছে তা আমরা জানি না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের জন্য যা কাম্য নয়। এসব মাদ্রাসায় আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষার ছিটেফোঁটাও নেই। আমরা মৌলবাদের একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছি। এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পরে আর ফিরে তাকানোর সময় পাব না। কওমি মাদ্রাসার সনদকে এম.এ ডিগ্রির সমান কীভাবে করা হল, কাদের ইন্ধনে করা হলোÑ তা আমাদের বোধগম্য নয়। অবশ্যই কওমি মাদ্রাসাগুলোকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।’

নির্মূল কমিটির সহ সভাপতি শিক্ষাবিদ কলাম লেখক মমতাজ লতিফ বলেন, ‘এখনই সময় ’৭২-এর সংবিধানের আলোকে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার। শিক্ষামন্ত্রীকে বলছি, লক্ষ লক্ষ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞানমুখী শিক্ষাব্যবস্থায় এনে তাদের রক্ষা করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষাব্যবস্থা সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থার মত। এরকম এদেশে করা যায়। মাদ্রাসার শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও যোগ্যতার বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। এখনই এ কাজে হাত দিতে হবে। মাদ্রাসাগুলোতে জঙ্গীরা প্রস্তুত হয়ে আছে সরকার পতনের জন্য। বাবুনগরীকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর জন্য। বাবুনগরী থেকে শুরু করে সকল মৌলবাদী নেতৃত্বকে অপরাধের শাস্তি দিতে হবে। সুশীল সমাজসহ সকলকে এজন্য আন্দোলন করতে হবে। বিজ্ঞানমনস্ক, সংস্কৃতিমনস্ক ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের জাতি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অবশ্যই মাদ্রাসাগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য কথাশিল্পী অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘শহীদজননী জাহানারা ইমামের উৎসাহে আমি লেখালেখিতে যুক্ত হয়েছিলাম। প্রকৃতপক্ষে হেফাজত রাজনৈতিক দল। সুযোগ পেলেই তারা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ঝাঁপিয়ে পড়বে। তাদের বিশাল কর্মীবাহিনী আছে। এই কর্মীবাহিনীরা হচ্ছে মাদ্রাসার ছাত্র যাদের লেখাপড়া করার কথা। কিন্তু লেখাপড়ার বাইরে গিয়ে কওমি মাদ্রাসায় তারা ধর্মান্ধ, মৌলবাদী হিসেবে গড়ে ওঠে। এজন্য আমরা দায়ী। বাবা-মা দরিদ্রতার কারণে তাদেরকে মাদ্রাসায় ভর্তি করে দিচ্ছে। তাদের সাধারণ শিক্ষার ব্যবস্থা আমরা করে দিতে পারছি না। বাবা-মাকে যেন মাদ্রাসায় সন্তানকে পাঠাতে না হয়- সেজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক হোস্টেলের ব্যবস্থা করতে হবে। খবরের কাগজে মাদ্রাসায় যৌন নির্যাতনের খবর পড়ে আমার খুব কষ্ট লেগেছে। এ সব থেকে পরিত্রাণে জন্য বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে।’

বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোট-এর সভাপতি হাফেজ মওলানা জিয়াউল হাসান বলেন, ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে ‘দালাল আইন’ বাতিল করার পর শহীদজননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তির বিষয়ে আমারা কোরআন, হাদীসের বিধিবিধান প্রচার করেছি এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে। কুরআন অনুযায়ী ‘হেফাজত-ই ইসলাম’ নামটি পরিপন্থি। কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষক ছাত্রের বৈষম্য প্রকট। কওমি মাদ্রাসায় মানবতার শিক্ষা, দেশপ্রেমের শিক্ষা দেওয়া হয় না। জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে কোনও মাদ্রাসায় এখন পর্যন্ত একটি চিঠিও যায়নি। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আমার প্রশ্ন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতি যাদের আনুগত্য নেই, তাদেরকে আমরা কেন স্বীকৃতি দিলাম? মাদ্রাসাগুলোতে মাতৃভাষায় শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবেÑ যে সম্বন্ধে ইসলামে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা আছে। শিক্ষামন্ত্রীকে আহ্বান জানাই, অবিলম্বে কওমি মাদ্রাসাগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমিক মানবতাবাদী শিক্ষা ব্যবস্থায় গড়ে তুলতে হবে। হেফাজতের অপরাধের অবশ্যই বিচার করতে হবে। শাস্তি দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে অসাম্প্রদায়িক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হবে।’

সভার অন্যান্য বক্তা নতুন শিক্ষানীতিতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনাভিত্তিক পাঠক্রম বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান। আজ সকাল ৮টায় মিরপুরে শহীদজননী জাহানারা ইমামের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password