ভোটাধিকারের আন্দোলন অব্যাহত রাখার প্রত্যয়ে হানিফ বাংলাদেশীর মার্চ ফর ডেমোক্রেসি সমাপ্ত

ভোটাধিকারের আন্দোলন অব্যাহত রাখার প্রত্যয়ে হানিফ বাংলাদেশীর মার্চ ফর ডেমোক্রেসি সমাপ্ত
MostPlay

৮০ দিনে ৬৪ জেলায় ২৩ হাজার গণস্বাক্ষর সংগ্রহের মাধ্যমে ভবিষ্যতে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন অব্যাহত রাখার প্রত্যয়ে পঞ্চগড়ে হানিফ বাংলাদেশীর মার্চ ফর ডেমোক্রেসি সমাপ্ত হয়েছে। গত ৬ মার্চ শনিবার সকাল ১০ টায় পঞ্চগড় মুক্ত মঞ্চে বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের উদ্যোগে এক নাগরিক সংবর্ধনার মধ্যে দিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন হানিফ বাংলাদেশ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভূমিহীন আন্দোলনের প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল আমীন, আলম চৌধুরী, মীর মোজাম্মেল হোসেন মিলন, ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাক, শেখ নাসির উদ্দিন সহ ভূমিহীন আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও হাজারো সাধারণ জনগণ।

এ সময় হানিফ বাংলাদেশী বলেন, “দীর্ঘ ৮০ দিনে ৬৪ জেলায় প্রায় ২৩ হাজার গণস্বাক্ষর সংগ্রহের মাধ্যমে পঞ্চগড়ের মুক্ত মঞ্চে মার্চ ফর ডেমোক্রেসি সমাপ্ত করছি। তবে ভবিষ্যতে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ভোটাধিকার ও কার্যকর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চেয়ে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। স্বাধীনতার ৫০ বছর ধরে সব শাসকদের দ্বারা জনগণের ভোটাধিকার কম-বেশি লুণ্ঠিত হয়েছে, গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা সংকুচিত হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে জনগণের প্রত্যাশা ভোটাধিকার ও কার্যকর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। সংবিধান মতে রাষ্ট্রের মালিক জনগণ আর রাষ্ট্রের উপর জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠার প্রথম শর্ত ভোটাধিকার, যাহা ৫০ বছর নানা ভাবে লুণ্ঠিত হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার ক্ষমতা জনগণের হাতে থাকলে অন্যায় দীর্ঘায়িত হয় না। এখন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার ক্ষমতা জনগণের হাতে নেই, সে কারনে দুর্নীতি দুর্বৃত্তায়ন মাথা ছাড়া দিয়ে উঠেছে। এখন কাক্সিক্ষত সে ভোটাধিকার, কার্যকর গণতন্ত্রের দাবি নিয়ে দেশব্যাপী গণস্বাক্ষর কর্মসূচি দেশের প্রতিটি থানা শহর ও জেলা শহর প্রদক্ষিণ করে আজ তেঁতুলিয়া গিয়েছি। মুক্ত মঞ্চে নাগরিক সমাবেশের মাধ্যমে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা March for Democracy সমাপ্ত করা হলো।”

হানিফ বাংলাদেশী আরো বলেন, “এর আগেও ২০১৯ সালের ১২ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল ভোটাধিকারের দাবিতে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া ৩৩ দিন হেটে পদযাত্রা করেছি। একই বছর ১৪ মে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে পঁচা আপেল নিয়ে প্রতিবাদ করেছি। ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত দুর্নীতি বন্ধের জন্য ৬৪ জেলার ডিসিকে স্বারকলিপি দিয়েছেন এবং দুর্নীতিবাজদের উদেশ্যে জেলায় জেলায় লালকার্ড প্রদর্শন করেছি। সংসদ ভবনের চারপাশে ১৬ বার পদক্ষিন করেছি। রাষ্ট্রপতিকে স্বারকলিপি দিয়েছি। ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর প্রতিকী লাশ নিয়ে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্ত অভিমুখে পায়ে হেঁটে সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবি জানিয়েছি। চলমান কর্মসূচিতে দেশবাসী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password