রাজশাহী মহানগরীতে অটোরিকশাচালক শমসের  হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। শুধু অটোরিকশায় থাকা ব্যাটারি নেয়ার জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছিল।  গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানা এলাকা থেকে ১ মার্চ শমসেরের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।  নিহত শমসের রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার বসড়ি এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে।  শমসের নিখোঁজ থাকার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি অপহরণ মামলা করা হয়েছিল। শমসেরের লাশ উদ্ধারের পর সেই মামলাটিই পরে হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

এ মামলায় পুলিশ একে একে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। সর্বশেষ বুধবার মোঃতারেক নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তারেকের বাড়ি থেকে শমসেরের অটোরিকশার আটটি ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়েছে। সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, শুধু ব্যাটারির জন্যই শমসেরকে হত্যা করা হয়। শমসের এক নারীর অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে চালাতেন। রাজশাহী মহানগর পুলিশের  মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, শমসের নিখোঁজ হওয়ার পরের দিন তার বাবা থানায় অভিযোগ করেন যে, মো. সাগর মো. সাগর  মো. সোহেল  ও আব্দুর রাজ্জাক  নামে চারজন তার ছেলের অটোরিকশা ভাড়া করে গেলেও আর ফিরে আসেনি। 

তাদের বিরুদ্ধে মামলার পর দুই সাগর ও রাজ্জাককে গ্রেফতার করা হয়। পরে ১ মার্চ গোদাগাড়ী থানা এলাকায় একটি ডোবার কচুরিপানার ভেতর শমসেরের লাশ পাওয়া যায়। এরপর পুলিশ অনুসন্ধানে জানতে পারে মো. রাসেল নামে এক যুবক এই হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত। গত ১০ এপ্রিল তাকে গ্রেফতার করা হয়। মহানগরীর রায়পাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বাড়ি থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাকু ও অটোরিকশা খোলার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। রাসেল পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। 

তিনি জানান, এ হত্যার সঙ্গে মো. তারেক (২১) নামে আরেক যুবক জড়িত। তার বাড়ি বালিয়া এলাকায়। তিনি আরও জানান, বর্তমানে পুলিশের কাছে রিমান্ডে থাকা মো. সাগর তারেকের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি পুলিশকে জানান। পরে বুধবার সকালে সাগরকে নিয়েই তারেকের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তারেককে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বসতবাড়ির খড়ি ঘরের মাটিতে পুঁতে রাখা অটোরিকশার আটটি ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়। এ মামলায় মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হলো।