কার্গো বিমানে পালিয়েছে আসামি আনভীর

কার্গো বিমানে পালিয়েছে আসামি আনভীর
MostPlay

রাজধানীর গুলশানে কলেজ ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর গতকাল সোমবার রাতেই প্লেনে করে পালিয়েছে। একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।  তবে তিনি কোন দেশে গেছেন তা জানা যায়নি।  কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার হাতে কামড়ের দাগ দেখা গেছে। মরদেহে যখমের চিহ্ন স্পষ্ট। হাতে দাঁতের চিহ্ন ছাড়াও রক্তজমাট থাকার কথা বলেছে পুলিশ।

রাজধানীর গুলশানে অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে আসামীকে গ্রেফাতারের দাবি করেছেন তার স্বজনেরা। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে নিজ ফ্ল্যাট থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে তরুণীর পরিবার। এদিকে কলেজ ছাত্রী মুনিয়াকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার ভগ্নিপতি ও বোন।

সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে তার ভগ্নিপতি মিজানুর রহমান বলেন, আমার শ্যালিকা (মুনিয়া) আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। দুদিন আগেও তার সঙ্গে কথা বলেছি। আত্মহত্যা করবে এমন কোনো মোটিভেশন ছিল না। আমাদের মনে হচ্ছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে। এখন আমরা ফরেনসিক রিপোর্টের অপেক্ষা করবো।

মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান কুমিল্লায় সংবাদিকদের বলেন, আমার বোনকে মানসিক নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি মামলা করেছি। আসামিকে দ্রুত গ্রেফতার দাবি জানাই। তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।নিহতের বড় ভাই আশিকুর রহমান সবুজ জানান, দীর্ঘদিন নিয়মিত যোগাযোগ না থাকলেও মুনিয়া আত্মহত্যা করতে পারে এটা মনে হয় না। ঘটনাটি রহস্যজনক বলেই মনে হয়।

মুনিয়ার জানাজা শেষে স্থানীয় প্রতিবেশীরা জানান, মুনিয়ার বাবা প্রয়াত মো. শফিকুর রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং কুমিল্লার আওয়ামী লীগ নেতা। দীর্ঘদিন ভাই আশিকুর রহমান সবুজের সাথে মুনিয়া ও তানিয়ার পারিবারিক বিরোধ চলছিল, যে কারণে কুমিল্লায় নিজ বাসায় তাদের যাতায়াত কম ছিল।

এর আগে সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গুলশানের একটি ভাড়া বাসা থেকে মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। গতমাসে ওই বাসা ভাড়া নেন তিনি। তার ওই বাসায় এক শিল্পপতি প্রায়ই যাতায়াত করতেন। পরে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গভীর রাতে শিল্পপতিকে আসামি করে মামলা করেন মুনিয়ার বড় বোন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password