যে মসজিদ আটলান্টিকে ভাসছে

যে মসজিদ আটলান্টিকে ভাসছে
MostPlay

আটলান্টিকের পানিতে ভাসছে মসজিদটি। চলাৎ চলাৎ শব্দে আছড়ে পড়ছে বিশাল ঢেউ। দূরের কোনো জাহাজ থেকে দেখলে মনে হয়, পানির তালে তালে দুলছে একটি মসজিদ। শুধু কি তাই, সুইচ চাপলে সরে যাবে আস্ত ছাদ, মুসল্লিরা চাইলে খোলা আকাশের নিচে চাঁদ-তারার কোমল আলোয় নামাজ পড়তে পারবেন! অদ্ভুত সুন্দর এই মসজিদের অবস্থান মরক্কোর ক্লাসাব্লাঙ্কা শহরে।

বাদশাহ দ্বিতীয় আল হাসান নামের এই মসজিদের কিছু অংশ আটলান্টিক মহাসাগরের পানির ওপর আর কিছু অংশ মাটিতে। তাই পৃথিবীব্যাপী এটি ‘ভাসমান মসজিদ’ নামেই অধিক পরিচিত। আরেকটি কারণে বিখ্যাত এই মসজিদ। এর মিনারের উচ্চতা ২১০ মিটার, যা প্রায় ৬০ তলা ভবনের সমান। একইসাথে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু মিনার ও ধর্মীয় স্থাপনা।

১ লাখ ৫ হাজার মানুষ একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন দ্বিতীয় আল হাসান মসজিদে। ১৯৮৭ সালে শুরু হয়ে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত চলে এই বিশাল মসজিদের কর্মযজ্ঞ। ২৫ হাজার শ্রমিক ও কারুশিল্পী এক নাগাড়ে প্রায় সাত বছর ধরে কাজ করে গেছেন এই মসজিদ নির্মাণের পেছনে। সে সময় এর নির্মাণ ব্যায় ছিল ৮০ কোটি ডলার!

মরক্কো সরকারের পক্ষে তো এত টাকা ব্যয় করা সম্ভব নয়, তাই নেওয়া হল অভিনব উদ্যোগ। সরকারের পক্ষ থেকে অনুদানের রশিদ পাঠিয়ে দেশটির নাগরিকদের কাছে। প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ অর্থ দান করলেন। এছাড়া এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। অর্থ সহায়তা করেছে কুয়েত, সৌদি আরবসহ আরো কিছু রাষ্ট্র।

মসজিদের বিশাল কমপ্লেক্সের মধ্যে রয়েছে মাদরাসা, জাদুঘর, কনফারেন্স হল, লাইব্রেরিসহ আরো অনেক কিছু। মসজিদ প্রাঙ্গনে আছে সুসজ্জিত ৪১টি পানির ফোয়ারা। স্থলভাগের অংশটির চারপাশে বিশাল জায়গাজুড়ে খালি রাখা হয়েছে। বিচিত্র গাছ-গাছালিতে পরিপূর্ণ এই জায়গাটি মরক্কোর সবচেয়ে জনপ্রিয় পিকনিক স্পট।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password