পৃথিবীতে চোখ এলিয়েনদের

পৃথিবীতে চোখ এলিয়েনদের
MostPlay

তারা কি আছে না নেই? তারা মানে বহু বছরের সেই সেই 'বিতর্কিত' ভিনগ্রহীরা (এলিয়েন)? তারা কি মাঝেমধ্যেই পৃথিবীতে এসে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিয়ে যায় মাঝেমধ্যেই? সুস্পষ্ট তথ্য প্রমাণ না থাকলেও তাদের না থাকার কথাও জোর দিয়ে বলতে পারেন না বিজ্ঞানীরাও। যদিও ভিনগ্রহ ও সেখান থেকে আসা ভিনগ্রহী প্রাণী এই দুই নিয়েই আমাদের কল্পনার শেষ নেই। কিন্তু আমরা হয়ত বুঝতে পারি না, আর ওরা আমাদের অজান্তেই 'দরজার' কলিং বেলে নক করে যাচ্ছে ভিনগ্রহীরা। তাহলে ওরা কি সত্যিই আছে? 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাণ বলতে আমরা যে ধরনের জিনিসের সাথে পরিচিত তার অস্তিত্ব নির্ভর করে জলের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির উপর। যদি কোনো গ্রহে জলের উপস্থিতি না থাকে, তাহলে ওই গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব না থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে পৃথিবীর সাপেক্ষে প্রাণ বলতে আমরা যা বুঝি, অন্য কোনো গ্রহের সাপেক্ষে প্রাণ অন্যরকমও হতে পারে। এমনও কোন প্রাণ থাকতে পারে, যাদের টিকে থাকার জন্য জলের প্রয়োজন হয় না, গ্যাসীয় বা পাথুরে পরিবেশেই দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে। সেই কারণেই কি ওরা বারবার এসে দেখে যায় পৃথিবীর প্রাণীদের চালচলন?

রহস্যের নাম এলিয়েন 
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ভিনগ্রহীদের দেখা নিয়ে কম আলোড়ন পড়েনি। বারবার দেখা মিলেছে তাদের যানের। দিনকয়েক আগেই সুদূর মেক্সিকো থেকে ভারত- ভিনগ্রহী যান নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন এক কন্সপিরেসি থিয়োরিস্ট। তার দাবি, যে UFO-কে মেক্সিকোর এক কবরখানার উপরে দেখা গিয়েছিল, সেই যানটিকে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে দেখা গেছে ভারতের হরিয়ানার আকাশে! স্কট সি ওয়ারিং নামে ওই UFO-শিকারি বর্তমানে তাইওয়ান থেকে নিজের যাবতীয় গবেষণা চালান। তার দাবি, গুগল আর্থের মাধ্যমে তিনি একটি UFO-কে মেক্সিকোর আকাশে আবিষ্কার করেছিলেন। সেটা ছিল ৩ জুন। তামাটে রঙের একটি উড়ন্ত বস্তুর তিনি দেখা পেয়েছিলেন মেক্সিকোর একটি কবরখানার আকাশে। তিনি দাবি করেন, সেই যান ভিনগ্রহীরা ছিল। তার দাবি, ভিনগ্রহীরা পৃথিবীতে আসেন মানুষের আচার-ব্যবহারের উপর নজর রাখতে। ওয়ারিং মেক্সিকোর আকাশের ওই ইউএফও নিয়ে একটি ওয়েবসাইটে বিস্তারিত লিখেছেন ওয়ারিং। সেখানে দাবি করেন, গত ৯ জুন হরিয়ানার কার্নাল এলাকার আকাশে দেখা গিয়েছে UFO. সেই যানের গতি ছিল অসম্ভব বেশি। সম্প্রতি জাপানের আকাশের দেখা মিলেছিল UFO-র!

মাঝেমধ্যেই তবে কি ওরা পৃথিবীতে?
আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের পথচলা তখনও শুরু হয়নি। বারাক ওবামা মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সময়টা ২০১৬-র শেষ দিকে। একটি ভিডিও ক্লিপিংস ভাইরাল হয়ে ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যার নির্যাস ছিল, 'রাশিয়াকে সতর্ক করল আমেরিকা'। বার্তাটা আসে খোদ ওবামার কাছ থেকে। ভ্লাদিমির পুতিনকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাবধান করেন এই বলে, 'ভিনগ্রহীরা পৃথিবীতে হামলা চালাতে আসছে।' কবে এলিয়েনদের সম্ভাব্য হামলা হতে পারে, সে বৃত্তান্তও বার্তায় ছিল। ২০১৭-র সেপ্টেম্বর। যে কোনও সময়, যে কোনও দিন। তবে দু-বছর আগে, বারাক ওবামার সেই সতর্কবার্তা হালকাভাবে নিতে পারেননি পুতিন। নেওয়ার প্রশ্নও ছিল না। তখনকার যিনি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট, জো বাইডেন, তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে শীর্ষস্তরে বৈঠকেও বসেন। পুতিনের সেই গোপন বৈঠকেরই ক্লিপিংস ইউটিউবে ফাঁস হয়। ভাইরাল হতে সে ভিডিও সময় লাগেনি।

বারবার বিতর্কের কেন্দ্রে ইউএফও
নাসার এক রিপোর্টের উল্লেখ করে বলা হয়েছিল, ভিনগ্রহীদের আকাশযান পৃথিবীর সীমানায় ঢুকে পড়েছে। নাসার স্যাটেলাইটে হঠাৎ সেই ইউএফ ধরা পড়ে! তাই ভিনগ্রহীদের হামলা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। যদি সত্যি সত্যিই ভিনগ্রহীরা হামলা চালায়, সেক্ষেত্রে মোকাবিলা করা যাবে কী করে? কয়েকপ্রস্থ আলোচনা শেষে শক্তিশালী মিসাইলে গুরুত্ব আরোপ করে দুই 'সুপারপাওয়ার' দেশ। যৌথ ভাবে বানানো যে মিসাইল শক্তির সঙ্গেই গতিবেগে আলোকে হার মানাবে। চোখের নিমেষে আঘাত হানবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে। পৃথিবীর কোনওপ্রান্তই তার অধরা থাকবে না। অবশ্য আমেরিকার বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ উঠেছে, এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফেলেছে আমেরিকা। মাঝেমধ্যেই ভিনগ্রহীরা এসে নামেন আমেরিকার গোপন এরিয়া 51-এর বেসে।

কেন ধরা দেয় না ওরা?
এরই মাঝে গুগল ম্যাপ ও গুগল আর্থের আলোকচিত্রে ধরা পড়া বিশালাকৃতির একটি ত্রিভুজ-সদৃশ রহস্যময় বস্তু ঘিরে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় হয়ে যায়। এলিয়েন হান্টাররা জোরাল ভাবে দাবি করেন, রহস্যময় বস্তুটি আসলে ভিনগ্রহীদের যান। তারা দাবি করেন, ওই যানে চেপেই ভিনগ্রহীরা পৃথিবীর বুকে নেমেছে। গুগলের তথ্য জানায়, অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছে ওই বস্তুটি। ২০০৭-এ প্রথম দেখা যায় ওই রহস্যময় বস্তুটিকে পরবর্তী একদশক ধরে দেশবিদেশের নানা সংবাদমাধ্যম, ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া ভিনগ্রহী প্রাণীদের অস্তিত্বের সপক্ষে প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরতে থাকে। শেষমেশ এই গুগল ম্যাপই সকলকে চূড়ান্ত হতাশ করে ওই বস্তুটির রহস্য ফাঁস করে। জানিয়ে দেয় ত্রিভুজাকৃতির ওই UFO-র সঙ্গে এলিয়েনের আদতে যোগ নেই। সেটি আসলে আলভার্নিয়া স্টুডিয়ো। বিশালাকার এই স্টুডিয়োয় মূলত ভিডিয়ো গেমস ও মিউজিক সিডি তৈরি হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password