রিজভী: হটলাইনে ফোন করে কাউকে পাওয়া যায় না

রিজভী: হটলাইনে ফোন করে কাউকে পাওয়া যায় না
MostPlay

করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সেবা পেতে স্বাস্থ্য অধিদফতর ১৩টি হটলাইন ফোন নম্বর চালু করলেও সেখানে কাউকে পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।আজ বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন তিনি।

রিজভী বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য ও সেবা পেতে স্বাস্থ্য অধিদফতর ১৩টি হটলাইন ফোন নম্বর চালু করেছে। তবে এই নম্বরগুলোতে ফোন করে কাউকে পাওয়া যায় না। রিং হতে থাকলেও কেউ রিসিভ করে না।তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনটি থার্মাল স্ক্যানার মেশিন বসানো হলেও তা নষ্ট হয়ে গেছে। করোনা ভাইরাস নিয়ে দেশে প্রবেশ করলে সনাক্তের কোনো যথাযথ ব্যবস্থা নেই।

বিমানবন্দরে টাকার বিনিময়ে এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা করোনা ভাইরাস মুক্ত সার্টিফিকেট বিক্রি করছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, বিমানবন্দরে ইতালি থেকে করোনা ভাইরাস নিয়ে যারা দেশে এসেছেন তাদের রোগ শনাক্ত হয়নি। দেশে ফেরার চার দিন পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তারা নিজেরাই চিকিৎসকের কাছে গেলে সরকার তাদের হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে। কিন্তু ইতোমধ্যে তাদের একজনের স্ত্রী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

রিজভী বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে দেশজুড়ে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি তৈরি হলেও সরকার এ নিয়ে রীতিমত চরম উদাসীনতা ও খামখেয়ালীপনা প্রদর্শন করছে। তাদের সমস্ত মনোযোগ ও ব্যস্ততা মুজিব বর্ষ পালন নিয়ে। দেশের সীমান্ত ও স্থল বন্দর অরক্ষিত, বিমান বন্দরগুলোতে স্ক্যানার মেশিন নেই, যা দু’একটি ছিল তাও আবার গতকাল নষ্ট হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, মেগা প্রকল্পের নামে দেশে হরিলুট চললেও মানুষের জীবন বাঁচাতে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় কোনো কার্যকর প্রস্তুতিই নেই।

“১৩টি হটলাইন আর কয়েকটি হাসপাতালে জোড়াতালির প্রস্তুতি চলছে। দেশের অধিকাংশ সরকারী হাসপাতালে আইসিইউ বেড নেই। ভেন্টিলেটর মেশিনও নেই। চিকিৎসক ও নার্সদের নিরাপত্তা বা সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল মাস্ক ও ইউনিফর্ম নেই। ভাইরাস প্রতিরোধী পোশাক (পিপিই) নেই। মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার যথেষ্ট পরিমাণে আমদানি বা উৎপাদনের কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় সেগুলো কয়েক গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে” বলেন বিএনপির এই নেতা।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password