টিকা আসছে, কিন্তু লোকসংখ্যা হিসেবে এই টিকা কি পর্যাপ্ত?

টিকা আসছে, কিন্তু লোকসংখ্যা হিসেবে এই টিকা কি পর্যাপ্ত?

দিনে দিনে বাড়ছে সংক্রমণ। সংক্রমণ কমাতে করোনা ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। বিভিন্ন দেশ থেকে আনা হচ্ছে করোনা ভাইরাসের টিকা। কিন্তু কথা থেকে যায় তবুও। এই টিকা কি পর্যাপ্ত? 

জাতিসংঘের বিশ্ব জনসংখ্যা প্রক্ষেপণ (২০২০ সাল) অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৪৭ লাখ। ফেব্রুয়ারিতে দেশে গণটিকাদান শুরুর দিকে টিকার বয়সসীমা ৫৫ থেকে কমিয়ে ৪০ বছর করা হয়েছিল। এরপর তা ৩৫ বছর করা হয়। গত সপ্তাহে ৩০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্য টিকার জন্য নিবন্ধন উন্মুক্ত করা হয়। এখন তা ১৮ বছর করার চিন্তা চলছে। বয়স কমিয়ে ৮০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনতে ১৩ কোটি ১৭ লাখ ৬০ হাজার মানুষকে টিকা দিতে হবে। এদের দুই ডোজ করে দিতে মোট ২৬ কোটি ৩৫ লাখ ২০ হাজার টিকার প্রয়োজন হবে। 

দেশে এ পর্যন্ত টিকা এসেছে ২ কোটি ১০ লাখ। আগামী মাসের শেষ নাগাদ আরও ১ কোটি ২৯ লাখ টিকা এলে সব মিলে টিকার মজুত দাঁড়াবে ৩ কোটি ৩৯ লাখে। এই টিকা ১ কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে দুই ডোজ করে দেওয়া সম্ভব হবে। এতে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রায় ১৩ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় আসবে। বাকি প্রায় ৬৭ শতাংশ মানুষের টিকার ব্যাপারে এখনো অনিশ্চয়তা থেকে যায়। 

গতকাল বিকেল পর্যন্ত টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ১ কোটি ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ৮৭ জন। বয়সসীমা কমানোর সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধনও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে অপেক্ষাকৃত তরুণেরাই বেশি নিবন্ধন করবেন এবং টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবেন।

চিকিৎসাবিজ্ঞানী অধ্যাপক লিয়াকত আলী বলেন, 'প্রয়োজনের চেয়ে টিকার পরিমাণ কম। তাই যাঁদের প্রয়োজন বেশি, তাঁদের আগে টিকা নিশ্চিত করা দরকার। বয়স বেশি এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দিতে হতো। তা হলে করোনায় মৃত্যু কম হতো'।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password