সুখবর নেই রফতানি আয়ে

সুখবর নেই রফতানি আয়ে

রফতানিতে করোনার প্রভাব কাটছেই না। এ খাতে সামগ্রিকভাবে নেতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে। করোনার প্রথম ঢেউয়ের পরে গত বছরের মাঝামাঝি রফতানি আয়ে কিছুটা উন্নতি হলেও, দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলাতে পারেনি রফতানি খাত। ফলে গত বছরের শেষ থেকেই কমতে থাকে রফতানি আয়।

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে পণ্য রফতানি করে মোট ২ হাজার ৫৮৬ কোটি ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং বর্তমান লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ কম। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি সময়ে পণ্য রফতানি করে আয় হয়েছিল ২ হাজার ৬২৪ কোটি ডলার।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য ।

এছাড়া, গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রফতানি আয় কমেছে প্রায় ৪ শতাংশ। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ রফতানি থেকে আয় করে ৩১৯ কোটি ডলার। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মাসে যা ছিল ৩৩২ কোটি টাকা।

ইপিবির প্রতিবেদন বলছে, গত অর্থবছরের ৮ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে ২১ পণ্যের রফতানি কমেছে। আর রফতানি বেড়েছে ২০টি পণ্যের।

রফতানি আয় কমেছে- কৃষি পণ্যতে দশমিক ৪০ শতাংশ, হিমায়িত ও জীবন্ত মাছ ১০ দশমিক ২৮ শতাংশ, চিংড়ি মাছ ১৮ দশমিক ৩১ , শাক সবজি ৫৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। এছাড়া, কাঁকড়া, ফলমূল, প্লাস্টিক পণ্য, ওভেন পোশাক, কাঁচা পাট,চামড়া, সিরামিক প্রভৃতি পণ্যেরও রফতানি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।

অন্যদিকে, নিট পোশাকে দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ, পাট ও পাটজাত পণ্যে ২৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ, ওষুধ ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ, বাইসাইকেল ৪০ দশমিক ৯০ শতাংশ ও হ্যান্ডিক্রাফট রফতানি ৪৮ দশমিক ৯০ শতাংশ বেড়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password