ভূমিকম্পে স্কুল ভবনে ফাটল

ভূমিকম্পে স্কুল ভবনে ফাটল
MostPlay

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ রাজা জিসি উচ্চ বিদ্যালয়। শতবর্ষি এই বিদ্যালয়ে ১৮৮৬ সালে নির্মাণ করেন প্রখ্যাত দানশীল ও শিক্ষানুরাগী রাজা গিরিশ চন্দ্র। সোমবার (৭ জুন) সন্ধ্যার ভূমিকম্পের পর ওই বিদ্যালয়ের ‘বদরউদ্দিন কামরান ভবন’-এ ফাটল দেখা দেয়। এই ভবনটি সিলেট সিটি করেপারেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের নামে নির্মিত।

২০০৬ সালে এই ভবন নির্মিত হয়। ২০১৭ সালের দিকে ভবনের দ্বিতীয় তলার কাজ সম্পন্ন হয়। সিলেটে এক মিনিটের মধ্যে দুই দফা ভূমিকম্পে নগরের ঐতিহ্যবাহী রাজা জি সি উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবনে অসংখ্য ফাটল দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে পিলারসহ একাধিক জায়গায় বড় ধরনের ফাটল রয়েছে। খবর পেয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ সিসিকের কর্মকর্তারা ভবনটি পরিদর্শন করে এটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মুমিত জানান, ‘সন্ধ্যায় ভূমিকম্পের পরপরই স্কুলের আয়া খাদিজা বেগম আমাকে ফোন দিয়ে জানান, স্কুলের একটি ভবনের বেশ কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। এবং এসব স্থানে পলেস্তার খসে পড়েছে। খবর পেয়ে আমি দ্রুত স্কুলে এসেছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘ভবনটি ২০০৭ সালের নির্মিত। ভবনের বিজ্ঞানাগারসহ পুরো ভবনের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। ভবনের পিলারেও বড় ধরনের ফাটল দেখা দেওয়ায় এখানে পাঠদান করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।’ তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘সিলেটের প্রাচীন এই বিদ্যাপিঠের বেশিরভাগ ভবনই পুরাতন।

নতুন এই ভবন এত অল্প সময়ের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় স্কুল খুললে শিক্ষার্থীদের আমি কোথায় বসাবো তা ভেবে পাচ্ছি না।’ এদিকে ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ার খবরে সেখানে যান সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ সময় তার সঙ্গে সিসিকের কর্মকর্তারাও ছিলেন। ভবন পরিদর্শন শেষে মেয়র আরিফুল হক বলেন, ‘বিদ্যালয়ের এই ভবন এবং সামনে যে মার্কেট ভবন রয়েছে দুটোই বিপদজনক হয়ে উঠেছে। ভবন দুটিকে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করছি।’

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password