চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনঃ গ্রেফতার-০২ জন

চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনঃ গ্রেফতার-০২ জন

আজ (১৮ জুলাই, রবিবার) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ একটি চাঞ্চল্যকর ক্লু’লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন নিয়ে ব্রিফিং দেয়। ব্রিফিংয়ে দুইজনকে আটকের বিষয়টি জানায় জিএমপি। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলোঃ

গত ১৬/০৭/২০২১ ইং তারিখ বেলা ০২.৩০ ঘটিকার সময় কাশিমপুর থানাধীন পশ্চিম শৈলডুবী জনৈক ছোফর উদ্দিন @ ছাফ্ফু এর নির্মাণাধীন ঘরের মাঝখানের রুমে বালুর নিচে ভিকটিম জাহিদুল ইসলাম (৩০) এর অর্ধ গলিত মৃতদেহ পাওয়া যায়। কাশিমপুর থানা পুলিশ উক্ত মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করিয়া ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজ উদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

যার প্রেক্ষিতে কাশিমপুর থানার মামলা রুজু হয়। মামলা রুজু হওয়ার পর তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের সসহায়তায় কাশিমপুর থানার একাধিক টিম কাশিমপুর, কুড়িগ্রাম জেলা ও জামালপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে উক্ত ঘটনার সন্ধিগ্ধ হিসাবে আসামী ১। রুপালী খাতুন (২৫), স্বামী-জাহিদুল ইসলাম, পিতা-মোঃ শুকুর আলী দেওয়ানী, মাতা-মোসাঃ মুকিলা, সাং-বড়াই কান্দি, থানা-রৌমারী, জেলা-কুড়িগ্রাম বর্তমান সাং-পশ্চিম শৈলডুবী (দারোগ আলী এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা-কাশিমপুর, গাজীপুর মহানগর, ২। মোহাম্মদ সুজন মিয়া (১৯), পিতা-মোঃ নজরুল ইসলাম সরকার, সাং-নীলেরচর, থানা-বকশীগঞ্জ, জেলা-জামালপুর, এ/পি সাং-টঙ্গী স্টেশন রোড, থানা-টঙ্গী পূর্ব, জিএমপি, গাজীপুর দ্বয়কে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিকভাবে ধৃত আসামীদ্বয় উক্ত হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার ঘটনা স্বীকার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ভিকটিম জাহিদুলের স্ত্রী আসামী রুপালী খাতুন এর সাথে আসামী মোহাম্মদ সুজন মিয়ার বিগত ৮/৯ মাস যাবৎ পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ইতিপূর্বে রুপালী খাতুন বেশ কয়েকবার তার স্বামী জাহিদুল ইসলামকে ফেলে টঙ্গীতে আসামী সুজন এর বাসায় চলে যায় এবং সুজন এর জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানাধীন নীলের চর গ্রামের বাড়ীতে গিয়া বসবাস করে। রুপালী প্রায়ই টিভিতে ক্রাইম পেট্রোল অনুষ্ঠান দেখতো।

গত ইং ০১/০৭/২০২১ তারিখ হইতে ইং ০৬/০৭/২০২১ তারিখ পর্যন্ত রুপালী তার স্বামী জাহিদুলকে মেরে ফেলে আসামী সুজন এর সাথে সংসার করার পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন ইং ০৬/০৭/২০২১ তারিখ দিবাগত রাত অনুমান ১১.০০ ঘটিকায় ভিকটিম জাহিদুল বাসায় আসলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শ্যামলী দুধের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশেয়ে খাওয়ায়। অতঃপর রাত অনুমান ০১ঃ০০ ঘটিকায় আসামী সুজন মিয়া ঘুমন্ত জাহিদের হাত পা চেপে ধরে ও আসামী শ্যামলী ভিকটিমের উপরে চড়ে বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দুজনে মিলে পাশের নির্মানাধীন ঘরের বালির নিচে চাপা দেয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password