ছেলের হাতে মা খুন

ছেলের হাতে মা খুন
MostPlay

পঞ্চগড়ে মাদকাসক্ত ছেলের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জয়তুন বেগম (৫০) নামে এক মায়ের মৃত্যু হয়েছে। শহিদুল ইসলাম (৩৫) নামে ওই ছেলে নেশার জন্য টাকা না পাওয়ায় তার মাকে হত্যা করে পালিয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।আজ শনিবার দুপুরে জেলা সদরের পশ্চিম মিঠাপুকুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত জয়তুন বেগম ওই এলাকার আব্দুল মজিদের স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শহিদুল ইসলাম এলাকায় মাদকাসক্ত হিসেবে পরিচিত। মাঝে মধ্যেই মাদক কেনার টাকার জন্য বাবা-মা ও বোনকে মারধর করতেন তিনি। তার এমন আচরণে বিয়ের কয়েক বছর পরে তার স্ত্রীও চলে যায়। তিন চার বছর আগে নেশার টাকা না পাওয়ায় তার বাবাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছিলেন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। কয়েক মাস আগে জেল থেকে বের হন তিনি। তারপর আবারো নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন। শনিবার দুপুরে টিউবওয়েল পাড়ে গোসল করতে যান মা জয়তুন বেগম। এ সময় হঠাৎ চিকৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় জয়তুনকে ফেলে রেখে পালিয়ে যাচ্ছেন তার ছেলে শহিদুল। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পঞ্চগড় সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নিহত জয়তুনের স্বামী আব্দুল মজিদ বলেন, আমি নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম। জয়তুন গোসল করতে গিয়েছিল। শহিদুল সেখানে তার তাকে টাকা চাইতে যায়। ওর মা টাকা কৈ পাবে। তার কাছে তো টাকা থাকে না। টাকা না দেওয়ায় ঘর থেকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার মায়ের গলায় কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। আমার এই ছেলে এর আগে টাকা না দেওয়ায় আমাকেও কুপিয়েছে। তাকে সবাই ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল। আমরা সব সময় তার ভয়ে থাকতাম। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। তার মাকে সে খুন করল। এমন সন্তান যেন কারো না হয়।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাকিব উল হাসান বলেন, ওই নারীকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। 

পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, মাদকাসক্ত ছেলের হাতে ওই মা খুন হয়েছেন বলে আমরা জেনেছি। আমাদের সদস্যরা হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের জন্য মাঠে কাজ করছে। আমরা লাশটি ময়নাতদন্তে প্রেরণ করেছি। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। আশা করি শিগগিরই হত্যাকারী ছেলেকে গ্রেপ্তার করতে পারব। 

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password