বেনাপোলে আমদানিকৃত ক্যাপসিকেমের মধ্যে থেকে বিপুল পরিমান শাড়ি থ্রি-পিচ ও মাদক উদ্ধার

বেনাপোলে আমদানিকৃত ক্যাপসিকেমের মধ্যে থেকে বিপুল পরিমান শাড়ি থ্রি-পিচ ও মাদক উদ্ধার

মিথ্যা ঘোষনা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করে আনা ক্যাপসিকেমের কার্টুনের মধ্যে পাওয়া গেল বিপুল পরিমান শাড়ি, থ্রি-পিচ, শিশা (মাদক) ও ভারতীয় ঔষুধ। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সংবাদ এর ভিত্তিতে বেনাপোল কাস্টমস কর্মকর্তারা ঘোষনা বহির্ভুত এসব পণ্য উদ্ধার করে।

রোববার বেলা সাড়ে তিনটার সময় বেনাপোল স্থলবন্দরের ৩১ নং কাঁচামালের ইয়ার্ড থেকে ভারতীয় (ডাব্লিউ-বি-১১-সি-৩৭৮৯) নং ট্রাক থেকে ক্যাাপসিকেমের চালানটি আটক করা হয়। এনএসআইয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ ফরহাদ হোসেন জানান, গোপন সংবাদে জানা যায়, ভারত থেকে ক্যাপসিকেমের একটি চালানের মধ্যে শাড়ি, থ্রি-পিচ, শিশা (মাদক) আসছে।

এরপর ওই ট্রাকের নাম্বার অনুযায়ী বেনাপোল বন্দরের ৩১ নং শেডে কাস্টমস কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ট্রাক থেকে পণ্য আনলোড করে বিপুল পরিমান শাড়ি থ্রি-পিচ, শিশা (মাদক) ও ঔষুধ পাওয়া যায়। তবে কি পরিমান মিথ্যা ঘোষনা বহির্ভুত পণ্য পাওয়া গেছে এবং কত টাকা শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার চেস্টা করা হয়েছে তা এখনো নির্নয় করা যায়নি।

ক্যাপসিকেমের আমদানিকারক যশোরের সিয়াম এন্টারপ্রাইজ। পণ্যটির রফতানিকারক ভারতের বনগাঁও শহরের মন্ডল ইন্টারন্যাশনাল। যার আইজিএম নং পি-৬৬৯২/১ তারিখ ২৬/১২/২১। ৫৪৪ প্যাকেজ পণ্য গ্রোজ ওজন ৫৭৩৯ কেজি এবং নিট ওজন ৪৯২৭ কেজি। পণ্যটির সিএন্ডএফ এজেন্ট বেনাপোলের স্বদেশ ইন্টারন্যাশনাল।

এ ব্যাপারে স্বদেশ ট্রেডিং এজেন্সী লিমিটেড এর স্বত্বাধিকারী সোলায়মান হোসেন বলেন, আমি শুনেছি ক্যাপসিকেমের চালানে কিছু অবৈধ পণ্য পাওয়া গেছে। আমি নিজে ব্যবসা করি না। আমার লাইসেন্সে ফিরোজ হোসেন নামে একজন কাজ করে। আমি তার নিকট থেকে কোন অর্থও গ্রহন করি না।

বিষয়টি জানতে ফিরোজকে ফোন দিলে সে বলে এখন আমি কিছু বলতে পারব না পরে বিষয়টি জানাব। বেনাপোল কাস্টম হাউসের যুগ্ম-কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া জানান, আমরা ভারত থেকে আমদানিকৃত ক্যাপসিকেমের একটি ভারতীয় ট্রাক থেকে ঘোষনা বহির্ভুত বিপুল পরিমাণ শাড়ি, থ্রি-পিস, মাদক ও ঔষুধ উদ্ধার করা হয়েছি। ট্রাক থেকে পণ্য আনলোড করা হয়েছে। তবে এখনো গনণা করা হয়নি। আমরা গননা করে বিস্তারিত পরে জানাবো। ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password