ভোলায় ৩ মাসের শিশুকে হত্যা করে ঘর ডাকাতি

ভোলায় ৩ মাসের শিশুকে হত্যা করে ঘর ডাকাতি

ভোলা সদর উপজেলার ৩ নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে ৫নং ওয়ার্ডের পাংঙ্গাশিয়া গ্রামে মঞ্জুর আলম ড্রাইভার বাড়িতে ৩ মাসের শিশু হত্যা করে ঘর ডাকাতির ঘটনা ঘটে। 

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) মধ্যরাতে সদর উপজেলার ৩ নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের পাংঙ্গাশিয়া গ্রামে মঞ্জুর আলম ড্রাইভার নামে এক দিনমজুরের ঘরে চুরি করতে গিয়ে ঘরে থাকা মঞ্জুর আলমের ৩ মাসের কন্যা সন্তান কে  পানিতে ফেলে হত্যা করেছে ডাকাত দল। 

ডাকাত দল মঞ্জুর আলমের ঘরে থাকা নগদ অর্থ ও দামী জিনিসপত্র এবং স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। হত্যার শিকার শিশুটি মঞ্জুর আলম ও শাহনাজ বেগম দম্পতির ২য় মেয়ে মারিয়া বেগম (৩ মাস)। তাদের ২ বছর বয়সী আরও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

স্থানীয় ও নিহত শিশুর পরিবার সুত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে ( আনুমানিক ১.৩০মিঃ) দিকে ঘরের দরজা খুলে ৪ জনের ডাকাত দল ঘরে প্রবেশ করে। ডাকাত দলের সকলের শরীল কালো পোশাক দিয়ে ডাকা ছিল এবং মুখে মুখোস পড়া ছিল। একটু সময় পরেই ডাকাত দলেরর ঘরে প্রবেশ করার বিষয়টি টের পান মঞ্জুর আলমের স্ত্রী শাহনাজ বেগম।  টের পাওয়ার সাথে সাথে ডাকাতরা শাহানাজের হাত-পা ও মুখমণ্ডল বেঁধে ডাকাতি করে ৷ ডাকাতি চলাকালে ঘুমে থাকা শাহানাজের ৩ মাসের শিশু মারিয়া জেগে উঠে  কান্নাকাটি করতে থাকেলে ডাকাতরা তাকে ঘরের পিছনে থাকা পুকুরে ফেলে। ডাকাতরা ঘরে থাকা ১২ শত টাকা, ১ ভড়ি স্বর্নলংকার ও দামী জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।  

ডাকাত দল যাওয়ার পর মঞ্জুরের স্ত্রী শানাহাজের দস্তদস্তির শব্দ শুনে ঘুমে থাকা তার স্বামী মঞ্জুর আলম ও তার শ্বাশুড়ী সজাগ হয়ে যায়। সোয়া থেকে উঠে তারা শাহানাজের এ অবস্থা দেখতে পান। এর পর তারা ঘরে থাকা ৩ মাসের শিশু মারিয়া কে খুজতে থাকে, খুজতে খুজতে তারা ঘরের পিছনে থাকা পুকুরে শিশুটি কে পায়। পরে তারা পুকুর থেকে শিশুটিকে মৃত্য অবস্থা উদ্ধার করে। রাতে তাদের ডাক-চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।

বুধবার সকালে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনায়েত হোসেন ও তদন্ত (ওসি) আরমান হোসেনসহ পুলিশের একটি টীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পরে শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য শিশুটির বাবা ও মাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন বলেন, ঘটনাটি শুনার সাথে সাথে আমরা ওই বাড়িতে যাই। আমরা শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে আসল রহস্য উদঘাটন করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password