বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ

বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ

পোশাককর্মীদের বেতনভাতা বকেয়া রেখেই ঈদের ছুটি ঘোষণা করেছে গাজীপুরের কিছু কারখানার মালিক। শিল্প পুলিশের হিসাবে অন্তত ৭২টি কারখানায় বেতনভাতা পরিশোধ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। বিজিএমইএ নেতারা জানিয়েছেন, ১৫ জুনের মধ্যে শ্রমিকদের বেতনভাতা পরিশোধ করতে মালিকদের আহ্বান জানানো হয়েছে।

নগরীর বাংলাবাজার স্ট্র্যান্ড রোড এলাকায় প্রায় দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। গতকাল ১৩ জুন দুপুর ১১ টার দিকে সদরঘাট থানার বাংলাবাজার স্ট্র্যান্ড রোডের আমির হোসেন দোভাষ সড়কে আদিলা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি লিমিটেড নামে একটি কারখানার শতাধিক শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেন।

এসময় সড়কের উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ কারখানার মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে বেতন–বোনাস পরিশোধের ব্যাপারে আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে যান। বিক্ষোভরত শ্রমিকরা বলেন, আমাদের সকাল ১০ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ডিউটি। প্রতি মাসের ২৩ থেকে ২৮ তারিখ আমাদের বেতন দেয় গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ। আমাদের এ মাসে হাফ বেতন দেওয়ার কথা বলেছে।তালা মেরে রাখা হয়েছিল আমাদের। তালা ভেঙ্গে আমরা নিচে আন্দোলনে এসেছি।

আমাদের দাবি, আজকেই আমাদের বেতনসহ কোরবানি ঈদের বোনাস দিতে হবে। প্রতি মাসের ১ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে বেতন দিতে হবে। আমরা নাইট ডিউটি করবো না। এরা সবসময় এমন করে। রোজার ঈদেও করেছে। এ বিষয়ে আদিলা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি লিমিটেডের

এইচ আর ম্যানেজার আব্দুল জব্বার বলেন, এখানে কোনো বেতন বকেয়া নেই। শনিবারে মে মাসের বেতনসহ বোনাস দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শ্রমিকেরা কেন আন্দোলন করছে বুঝতে পারছি না। হাফ বেতনের কোনো কথা হয়নি।

সদরঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফেরদৌস জাহান বলেন, মালিকপক্ষ শনিবারে (১৫ জুন) বেতন–বোনাস দেওয়ার কথা থাকলেও শ্রমিকেরা মনে করেছিল শনিবারে বেতন–বোনাস না দিয়ে গার্মেন্টস ঈদের বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এজন্য শ্রমিকেরা গার্মেন্টসে কর্মরত অবস্থা থেকে সড়কে বিক্ষোভে নামেন। মালিকপক্ষ এবং শ্রমিকপক্ষের সাথে আলোচনা করে আজকেই (বৃহস্পতিবার) বেতন–বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে শ্রমিকেরা পুনরায় কাজে ফিরে যায়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password