ভিখারি থেকে নামী মডেল

ভিখারি থেকে  নামী মডেল

সোশ্যাল মিডিয়া মানুষকে যেমন হতাশায় ডোবাচ্ছে, তেমনই অনেক মানুষের জীবন কিংবা ভাগ্যকে রীতিমতো পরিবর্তন করে ফেলছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ছবি বা একটি আলোচনা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চেয়ে বাংলাদেশ-ভারত বা উপমহাদেশে এই চিত্র তূলনামূলক বেশি দেখা যায়। তবে এবার এই এশিয়ার ফিলিপাইনে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। মেয়েটির নাম রিতা গাভিওয়ালা।

যখন মাত্র ১৩ বছর বয়স রিতা গাভিওলার সে সময়ই তার একটি ছবি ভাইরাল হয়। সেই ছবিটিই৯ রিতার জীবন আমূল পালটে দেয়। এখন প্রচুর নেটিজেন রিতার প্রতি উৎসুক, উন্মুক হয়ে থাকেন। কেননা রিতা ইনস্টাগ্রামে যে সকল ছবি প্রকজাশ করেন তা তরুণ হৃদয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে নেটিজেনদের দাবি। 

মাত্র ৪ বছর আগে রিতাকে ফিলিপাইনের লুচেনা শহরে রাস্তায় ভিক্ষা করতে দেখা গেছে। পথে পথে হাত পেতে ভিক্ষা করে বেড়াতো যে মেয়ে, আজ সেখানে ফ্যাশন মডেল এবং অনলাইন সেলিব্রিটি। ইনস্টাগ্রামে দেড় লাখের ওপরে ফলোয়ার রয়েছে।

২০১৬ সালে তোফার নামে ফটোগ্রাফার ফিলিপাইনের কুইজেন প্রদেশের লুচেনা শহরে । তিনি রিতার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে একটি ছবি তোলেন। পরে ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলে এটি ভাইরাল হয়ে রিতার জীবনকে বদলে দেয়। সেসময় ফিলিপাইনের অনেক নামী সুন্দরী এমনকী সুন্দরী প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়নদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন রিতা গাভিওলা। আর এ কারণে মাত্র ১৩ বছর বয়সেই টেলিভিশনের রিয়েলিটি শোতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পান রিতা। 

রিতা বাবা মায়ের সঙ্গে যখন ফিলিপাইনের জামবাঙ্গা থেকে লুচেনা শহরে আসেন তখন একদম কিশোরী। তার বাবা একজন ময়লা সংগ্রহকারী। রাস্তা বা ডাস্টবিন থেকে ময়লা সংগ্রহ করতেন। সে সময় বাসায় রিতার মা বাচ্চাদের দেখাশোনা করতেন। রিতারা ৫ ভাই বোন। রিতা 'বাদজাও গার্ল' নামেও পরিচিত। সমুদ্রে ভাসমান জীবনযাপন করা একটি সম্প্রদায়ের নাম বাদজাও সম্প্রদায়। এই সম্প্রদায় থজেকেই রিতার আগমন। যার কারণে তাকে এই নামে ডাকা হয়।

যখন  রিতার ছবি ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল, সেটা ৫ বছর আগের কথা- তখন তিনি অনেকের নিকট পছন্দ হয়েছিলেন। আর্থিকভাবে সহায়তাও করেছিলেন নেটিজেন ও সেলিবটিরা।  ছবিটি ভাইরাল হয়ে গেলে, বেশ কয়েকটি ফ্যাশন ব্র্যান্ড রিতাকে একটি মডেলিংয়ে ডাকে। কিছুদিন পর টিভি শোতেও হাজির রিতা। 

রিতা গাভিওলা ২০১৮ সালে ইউটিউবে একটি ভিডিও আপলোড করেন। যেখানে তিনি তার নতুন বাড়ি সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিলেন। তার আমেরিকান ভক্ত গ্রেস এই বাড়িটি তৈরি করতে সহায়তা করেছিলেন। তবে এই মুহুর্তে তার অগ্রাধিকার হলো পড়াশোনা শেষ করা।

View this post on Instagram

A post shared by Rita Gaviola (@itsritagaviola)

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password