ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এমন মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। চার কিশোর কানে হেডফোন
লাগিয়ে রেললাইনের ওপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। সে সময় মোবাইল গেম পাবজি, ফ্রি ফায়ারের মতো খেলায় ব্যস্ত ছিল তারা। তাইতো ট্রেনের হুইসেল শেষ পর্যন্ত
তাদের কানে পৌঁছায়নি। ফলে যা হওয়ার তাই হলো। ট্রেনে কাটা পড়ে একসঙ্গে তাদের মৃত্যু
হয়। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার ধুমডাঙ্গী স্টেশন এলাকায় ঘটেছে এই
ঘটনা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, পাবজি-ফ্রি ফায়ার গেম খেলতে খেলতেই ট্রেনের ট্রেনে কাটা পড়ে চার কিশোরের
মৃত্যু হয়েছে। নিহত ওই চার কিশোর চোপড়ার কোনাগছ গ্রামের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ। মৃতদের
পরিবার জানিয়েছে, ওই কিশোররা সবাই
পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বিভিন্ন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতো। গত রোববার রাখি পূর্ণিমার
ছুটি থাকায় বাড়ি এসেছিল তারা।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, রাতে ওই চার কিশোর রেললাইনের ওপর দিয়ে কানে
হেডফোন দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। চোখ ছিল মোবাইল ফোনে। মোবাইল গেম পাবজি, ফ্রি ফায়ারের মতো খেলায় ব্যস্ত ছিল তারা। এ সময় ছুটে আসছিল আগরতলা–দেওঘর এক্সপ্রেস। রেললাইনের
ওপর কিশোরদের দেখতে পেয়ে অনেকে চিৎকার করছিলেন। ট্রেনের চালকও হুইসেল বাজাচ্ছিলেন।
কিন্তু চার কিশোরের কানে কোনো কিছুই পৌঁছেনি। ট্রেনে কাটা পড়ে একসঙ্গে মৃত্যু হয়
তাদের। মুহূর্তের মধ্যে চলন্ত ট্রেনে কাটা পড়ে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় চারটি দেহ।
খবর পেয়ে রেল পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন দেহাংশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে উত্তর দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার শচীন মক্কার বলেন, ‘আমরা ট্রেনের
ধাক্কায় চারজনের মৃত্যুর ঘটনার খবর পেয়েছি। মৃতদের আত্মীয়-স্বজনরা তাদের সৎকার কাজ
করেছেন বলেও জেনেছি।’
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন