পেটের অতিরিক্ত মেদের জন্য শরীরে বাসা বাঁধে নানা জটিল রোগ। শরীরচর্চা করেও কাজ হচ্ছেনা অনেকের। প্রায় গবেষণায় দেখা গেছে, মূলত অস্বাস্থ্যকর খাবারের জন্যই মেদ কমতে চায় না শরীরের। সেক্ষেত্রে শুরুটা করতে হয় সকালের নাস্তা থেকেই।
আজ আমরা জেনে নিবো সকালের নাস্তায় আমরা যে ধরণের খাবারগুলো এরিয়ে চলবো এবং যা খাবো তা নিয়ে বিস্তারিত।
যা খাওয়া অনুচিত:
লুচি-পরোটা:
লুচি-পরোটা নাস্তায় খেতে চান অনেকেই যা একদমই ঠিক না। সেক্ষেত্রে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে না।
ফ্রুট জুস:
অনেকেই সকালের খাবারে প্যাকেটজাত ফ্রুট জুস খান। এতে অতি মাত্রায় চিনি দেওয়া থাকে। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক এবং এতে ওজনও বাড়ে।
ময়দার তৈরি খাবার:
ময়দার তৈরি যে কোনও জিনিসই সকালের নাস্তায় এড়িয়ে চলা ভালো। যেমন অনেকেই আছেন যারা সকালে নুডলস খান। খেতে সুস্বাদু হলেও নাস্তায় একদমই এটি খাওয়া অনুচিত। এছাড়া সকালে নাস্তায় কেক-কুকিজ একদমই খাবেন না। এতে ময়দা,চিনি, স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক কেননা তা মেদ বারিয়ে দেয়।
প্রসেসড ফুড:
সকালবেলায় খাবারে ভুল করেও প্রসেসড ফুড রাখবেন না। সাধারণত প্রসেসড ফুডে অতিরিক্ত প্রেজারভেটিভ থাকে। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। তাই চিপস, পপকর্ন, ফ্রোজেন ফুড ইত্যাদি এড়িয়ে চলাই ভালো। কেননা এতে শরীরে বাড়বে মেদ।
যা খাওয়া উচিত:
গরম পানি:
সকালের শুরুতেই দুই গ্লাস গরম পানি পান করুন।পানি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। এতে করে ত্বক ভালো থাকে। এছাড়া পানি হজম ব্যবস্থাকে উন্নতি করে এবং বিপাক ক্রিয়া ঠিক রাখে। দুইটাই ওজন কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে আপনি চাইলে শুধু পানিও খেতে পারেন আবার লেবু পানিও খেতে পারেন। এছাড়াও ঘুম থেকে ওঠার এক ঘন্টার মধ্যে অবশ্যই সকালের নাস্তা খেতে হবে।
প্রোটিনযুক্ত খাবার:
সকালের খাবারে আপনার প্রতিদিনের ক্যালোরি গ্রহণের মাত্র ২৫ থেকে ৩০ শাতংশ হওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে প্রোটিন শরীরকে তৃপ্তি দেয় এবং আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পরিপূর্ণ রাখে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। তাই সকালের খাবারে ডিম, দই, আটা, ওটস্ এবং বাদামের মতো প্রোটিনযুক্ত উপাদানের পরিমাণ বেশি থাকতে হবে।
ফাইবারযুক্ত খাবার:
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার শরীরে উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে এবং মেদ কমাতে সাহায্য করে। এজন্য সকালের নাস্তায় অবশ্যই সবজি ও ফলমূল রাখতেই হবে অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইলে।
শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে সুস্বাস্থ্য গঠনে মেনে চলুন এসকল খাদ্যাভাসগুলো।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন