দেশে ১৫ শতাংশ মানুষের শরীরে দেড় বছর থাকতে পারে করোনাভাইরাস

দেশে ১৫ শতাংশ মানুষের শরীরে দেড় বছর থাকতে পারে করোনাভাইরাস
MostPlay

আমাদের দেশে করোনার ঊর্ধ্বগতি চলছে। প্রতিদিন দশ হাজারের উপর মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে এবং সেই সাথে প্রতিদিন প্রায় দুইশ মানুষ প্রান হারাচ্ছেন করোনা আক্রান্ত হয়ে। এর মধ্যে আরও একটিউ ভয়ংকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে গবেষনায়। সেটি হলো বাংলাদেশের প্রায় ১৫ শতাংশ কভিড রোগী লং কোভিডে ভুগছেন অর্থাৎ এটি তিন মাস থেকে শুরু করে দেড় বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। লং কভিড মানুষের শারীরিক ও মানসিক-দুই ক্ষেত্রেই ব্যাপক প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ মেয়াদে লং কোভিড মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে।

বাংলাদেশের যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৭ জন গবেষকদের একটি দল লং কোভিড নিয়ে গবেষণা করেছেন। ২০২০ সালের মে মাস থেকে শুরু করে এ বছরের মে মাস পর্যন্ত এক বছর ধরে এই গবেষণাটির কার্যক্রম চালানো হয়েছে। বাংলাদেশের দুই হাজারের বেশি কভিড রোগীর উপর গবেষণাটি করেছেন তারা। এতে দেখা গেছে, বাংলাদেশের প্রায় ১৫ শতাংশ কোভিড রোগী লং কোভিডে ভুগছেন। গবেষণা অনুযায়ী, মধ্যবয়সীদের মধ্যেই লং কোভিডের উপসর্গ বেশি পাওয়া যায়। ৩০ থেকে শুরু করে ৫৫ বছর বয়স পর্যন্ত মানুষের মধ্যে লং কোভিডে ভোগার প্রবণতা বেশি।

লং কোভিডের ক্ষেত্রে রোগীর মাথাব্যথা, ভুলে যাওয়া, শরীর ব্যথা, দুর্বলতা, হৃৎস্পন্দনের ওঠানামার মতো উপসর্গ থাকে। আর এটি তিন মাস থেকে শুরু করে দেড় বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। হাসপাতালে দীর্ঘদিন ভেন্টিলেটারে থাকার পর তৈরি হতে পারে নানাধরনের শারীরিক ও মানসিক জটিলতা। কভিড পরবর্তী সময়েও নানা ধরনের শারীরিক জটিলতাই মূলত লং কোভিডের লক্ষণ। এসময় তার ঘুম কম হতে পারে, মাঝে অনেক বেশি উত্তেজিত হয়ে যায় আবার অনেক সময় হতাশ হয়ে যায়।

বাংলাদেশের তুলনায় যুক্তরাজ্যে মোট আক্রান্ত কভিড রোগীদের মধ্যে এই হার তুলনায় কম। সেখানে ১০ শতাংশের কিছু বেশি রোগীর মধ্যে লং কোভিডের উপসর্গ পাওয়া গেছে মাত্র। এদিকে, বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ার করে বলছেন, কভিড তো বটেই, নতুন করে উদ্বেগের বিষয় হতে যাচ্ছে লং কোভিড।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password