আমার এক শিক্ষক চাকরি থেকে অবসরে গেছেন ২০০২ সালে। এখন স্যারের বয়স ৭৭/৭৮ কিংবা কিছু বেশিও হতে পারে। ম্যাডামের (স্যারের স্ত্রী) বয়স ৭০/৭২ হবে। উনাদের দুই ছেলে-মেয়ে। আমার জানামতে, দুজনই দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তারা পিএইচডি করতে প্রায় পনের বছর আগে উন্নত দেশের দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যান।
কেউ আর দেশে ফিরে আসেননি। দুজন দুই দেশে মোটামুটি স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। বাবা-মাকে নিয়েও যাননি। তবে তিন/চার বছর পর পর তারা বাবা-মাকে দেখতে দেশে আসেন। এখন সন্তান হিসেবে এই দায়িত্ব তারা পালন করে চলেছেন। স্যারের টাকা-পয়সার অভাব নেই। কিন্তু দেখাশুনা করার কেউ নেই। বৃদ্ধদের কোন আত্মীয়-স্বজনও থাকে না।
স্যারের সাথে কিছুদিন আগে দেখা হয়েছিল। জানলাম, একজন কাজের মহিলা উনাদের দেখাশুনা করেন, রান্না করে দেন। যদি কোন দিন কাজের মহিলা না আসে, সেদিন স্যার ম্যাডামের খাওয়া-দাওয়া অনেক সময় বন্ধ হয়ে যায়। অনেক কথা বলার পর এক সময় স্যার বলেই ফেললেন, সন্তানদের বেশি বড় মানুষ করতে নেই। তারা তখন বাবা-মায়ের থাকে না। বুঝতে পারলাম, কতটা কষ্ট বুকের মধ্যে নিয়ে স্যার চলাচল করছেন।
(সংগৃহীত)
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন