করোনা নিয়ন্ত্রণে নানামুখি পদক্ষেপ নিচ্ছে কানাডা

করোনা নিয়ন্ত্রণে নানামুখি পদক্ষেপ নিচ্ছে কানাডা

করোনা প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের এখনো নানামুখি উদ্যোগ নিচ্ছে কানাডা। কোনো কোনো নীতি-নির্দেশ থেকে মন্ত্রী, এমপি, এমনকি সরকারি উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরাও রেহাই পাচ্ছেন না। চাকরি এবং পদ হারাচ্ছেন অনেকেই।

অন্টারিও প্রদেশের অর্থমন্ত্রী রড ফিলিপস নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ‘মন্ত্রিত্বের চাকরি’ হারালেন করোনাকালে ক্যারিবীয় দ্বীপদেশে ভ্রমণ কারণে। লকডাউন আদেশের বিরোধিতা করে প্রকাশ্যে টুইটারে একটি বিবৃতি পোস্ট করার কারণে প্রাদেশিক সাংসদ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে টরন্টোস্থ ইয়র্ক সেন্টার এলাকার অন্টারিও সংসদের এমপিপি রোমান বাবারকে।

করোনা দেশটির নেওয়া সর্বশেষ পদক্ষেপ হচ্ছে বিদেশ থেকে কানাডায় আসা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে যাত্রীদের বাধ্যতামূলক কোভিড টেস্ট করতে হবে এবং ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট করে দেওয়া হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এ সময় কোয়ারেন্টিনে থাকতে জনপ্রতি ২ হাজার ডলারের বেশি ব্যয় হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই ব্যয় যাত্রীদের নিজেদের বহন করতে হবে বলে ফেডারেল পরিবহনমন্ত্রী ওমর আলঘাবরা জানিয়েছেন।

এদিকে অন্টারিও প্রভিন্সের লকডাউন বাড়ানো হয়েছে চলতি মাসের ২৪ তারিখ পর্যন্ত এবং কুইবেক প্রভিন্সে সান্ধ্য আইন শিথিল করা হয়েছে, তবে তা প্রত্যাহার করা হয়নি। যদিও এমপিসহ একটি গ্রুপ মাস্ক পরার বিরোধীতা এবং লকডাউনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

কানাডায় এখন করোনা ভেকসিন দেওয়া হচ্ছে। ফাইজার এবং মর্ডানার পাশাপাশি প্রথমবারের মতো ক্যালগেরি প্রদেশের থেরাপিউটিক্স কোম্পানির উদ্ভাবিত অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছে হেলথ কানাডা। এটি হবে দেশটিতে ব্যবহার করা তৃতীয় ভ্যাকসিন। পাশাপাশি চতুর্থ ভ্যাকসিন অনুমোদন দিতেও খুব বেশি সময় লাগবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন হেলথ কানাডার কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, মার্চের শেষ নাগাদ ৩ কোটি নাগরিককে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কানাডার। জুনের শেষে ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় আনা হবে আরও এক কোটি কানাডিয়ানকে। এরপর সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ চাইলে যে কেউ ভ্যাকসিনটি নিতে পারবেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password