বউয়ের পরকীয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এএসআই এর ১১ গুলি ৩ খুন

বউয়ের পরকীয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এএসআই এর ১১ গুলি ৩ খুন
MostPlay

পুলিশের এক এএসআই নিজের পিস্তল দিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলি করে তার সাবেক স্ত্রী, আগের পক্ষের শিশু ছেলে ও স্ত্রীর বয়ফ্রেন্ডকে হত্যা করেছে। কুষ্টিয়ায় পরকীয়ার কারণে বলি হলো তরতাজা তিনটি জীবন। মোট ১১টি গুলি চালায় ওই এএসআই। এ ঘটনায় শহরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ওই এএসআই সৌমেনকে গ্রেপ্তার করেছে।

বেলা পৌনে ১২টা। কুষ্টিয়া শহরের কাষ্টমমোড়ে নাজ ম্যানশন নামক একটি মার্কেটে বিকাশ এর দোকানে বিকাশেরই কর্মী বয়ফ্রেন্ড সাকিল খানের সঙ্গে দেখা করতে আসে আসমা খাতুন (২৫)। এসময় আসমার সঙ্গে তার শিশু ছেলে রবিনও ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা বেলা পৌনে ১২টার দিকে হবে হঠাৎ সেখানে হাজির হোন নিহত আসমার সাবেক স্বামী পুলিশের এএসআই সৌমেন। মার্কেটের ভেতরে প্রথমেই সে বিকাশকর্মী সাকিল ও সাবেক স্ত্রী আসমার উপর গুলি চালান। এসময় আসমার শিশু ছেলে রবিন বাইরে পালিয়ে আসলে সোমেন তেড়ে এসে ওই শিশুকেও গুলি করে। পরে স্থানীয়রা ছুটে আসলে সোমেন শূন্যে গুলি করে ত্রাস সৃষ্টি করে। পরে লোকজন ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে তাকে থামানোর চেষ্টা করে। এ সময় খবর পেয়ে পুলিশও সেখানে পৌঁছে যায়। এক পর্যায়ে সৌমেন ধরা দেয়।

পরে ঘটনা স্থির হলে স্থানীয়রা তিনজনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সবাইকেই মৃত বলে ঘোষণা করে।

পুলিশ সুপার খাইরুল আলম জানান, পুলিশ সোমেনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমেন কুষ্টিয়ার হালশা ক্যাম্পে থাকা অবস্থায় কুমারখালী উপজেলার সাওতা গ্রামের আসমার সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর আসমার সঙ্গে তার বিয়ে হয় বলে দাবী পুলিশের। পরে সৌমেন (বর্তমান পোস্টিং) খুলনার ফুলতলায় বদলী হলে আসমা তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আসমা তার বর্তমান বয়ফ্রেন্ড বিকাশ কর্মী সাকিলের সঙ্গে সম্পর্কে যুক্ত হলে ক্ষেপে যান সোমেন। এই বিরোধে সৌমেন ক্ষিপ্ত হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

এ ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। স্থানীয় জনতাও সেখানে ভিড় করছে। তারা প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধান করে দোষীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password