স্ত্রীকে খুনের পর লবণ দিয়ে লাশ ৩ দিন কম্বলে পেঁচিয়ে রাখে স্বামী

স্ত্রীকে খুনের পর লবণ দিয়ে লাশ ৩ দিন কম্বলে পেঁচিয়ে রাখে স্বামী

স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করে বুধবার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে শিক্ষক আমিনুল ইসলাম। এর আগের দিন বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লাশ রেখে পালানোর সময় ধরা পড়ে আমিনুল। তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন হাসপাতালের লোকজন।

আমিনুল শনিবার বঁটি দিয়ে খুন করে শান্তা আক্তারকে। এরপর লবণ মেখে লাশ কম্বলে প্যাঁচিয়ে ঘরে ফেলে রাখে। মঙ্গলবার বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লাশ রেখে পালানোর চেষ্টা করে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সোনারগাঁ উপজেলার বারদীর ওরলাপুর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে বন্দর গার্ল স্কুলের পিটি শিক্ষক আমিনুলে সঙ্গে ২০১৭ সালে বিয়ে হয় একই এলাকার কলিমউল্লাহর মেয়ে শান্তা আক্তারের। পারিবারিক কলহের কারণে ২০১৯ সালে তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। শান্তার অন্যত্র বিয়ে হয়।

সাত মাস ওই স্বামীর ঘর করার পর ২০ অক্টোবর আমিনুল ফুসলিয়ে আবার শান্তাকে বিয়ে করে। এরপর বন্দরের রাজবাড়ি এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস শুরু করে। পুনরায় বিয়ের ২ মাস ৬ দিনের মাথায় শান্তাকে হত্যা করে আমিনুল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বন্দর থানার এসআই আবদুস সবুর জানান, মঙ্গলবার রাতে শান্তার বাবা কলিমউল্লাহ আমিনুল ইসলামকে আসামি করে মামলা করেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password