নওগাঁয় মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় আসামির যাবজ্জীবন

নওগাঁয় মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় আসামির যাবজ্জীবন

নওগাঁয় সপ্তম শ্রেণির এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে আটক রেখে ধর্ষণ মামলায় আ. সালাম (৩৮) নামে এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আজ রবিবার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন। আসামি সদর উপজেলার বর্ষাইল মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর পরিবার পত্নীতলা উপজেলায় ভাড়া থাকতেন। ভাঙ্গারী ব্যবসার সুবাদে আসামি সালামও পাশে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভুক্তভোগী মাদরাসায় যাওয়া আসার পথে তিনি বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতেন এবং রাস্তাঘাটে বিরক্ত করতেন। বিষয়টি জানাজানি হলে আসামি ওই ভুক্তভোগীর পরিবারকে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে ২০২২ সালের ১১ জুলাই বেলা তিনটার দিকে আসামি আ. সালাম একটি বাজার এলাকা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে নওগাঁ সদর উপজেলার ভবানীপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মোজাফ্ফর রহমানের ভাড়া বাড়িতে আটক রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা পত্নীতলা থানায় অভিযোগ করলে র‌্যাব ওই বাড়ি থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার ও মেয়েকে উদ্ধার করে। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় আসামি সালামসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ রবিবার আসামি সালামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেওয়া হয়।

এদিকে মামলার এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম সন্তোষ প্রকাশ করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ফাহমিদা কুলসুম উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password