সৈকতে তিমির মৃত্যু মিছিল

সৈকতে তিমির মৃত্যু মিছিল

শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে পরিচিত নিউজিল্যান্ড। আর সেই শান্তিপ্রিয় দেশেই ঘটেছে মর্মান্তিক ঘটনা। নিউজিল্যান্ডের প্রত্যন্ত চ্যাথাম দ্বিপপুঞ্জে আটকে পড়ে প্রায় ৫০০ তিমি মারা গেছে। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) চ্যাথাম দ্বীপের সৈকতে ২৫০ টি তিমির মৃত্যু হয় এবং তার তিন দিন পর পিট দ্বীপে আরও প্রায় ২৪০ টি তিমির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। দ্য গার্ডিয়ানের বরাতে এই তথ্য জান যায়।

এমন মর্মান্তিক ঘটনার পর মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) নিউজিল্যান্ড সরকার জানায়, ওই অঞ্চলটিতে হাঙ্গরের ব্যাপক উপস্থিতি থাকার কারণে উদ্ধার কাজ বাতিল করা হয়েছে। উদ্ধারকারী কর্মকর্তা জানায়, 'মানুষ এবং তিমি উভয়ের জন্য হাঙ্গর আক্রমণের ঝুঁকির কারণে আমাদের প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারী দল তিমিগুলোর মৃত্যু কষ্ট লাঘবে ‘এনেস্থিসিয়া’ (চেতনানাশক) প্রয়োগ করে। এই দ্বীপগুলো নিউজিল্যান্ডের মূল ভূখন্ড থেকে অনেক দূরে হওয়ায় সেখানে উদ্ধার অভিযান চালানো প্রায় অসম্ভব।'

নিউজিল্যান্ড সরকারের প্রযুক্তিগত সামুদ্রিক উপদেষ্টা ডেভ লুন্ডকুইস্ট বলেছেন, 'মানুষ এবং তিমি উভয়ের জন্য হাঙ্গর আক্রমণের ঝুঁকির কারণে আমাদের প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারী দল তিমিগুলোর সহজ প্রক্রিয়ায় মৃত্যুর ব্যবস্থা করেছিল। সিদ্ধান্তটি কখনই হালকাভাবে নেওয়া হয়নি, তবে নিরুপায় হয়ে বিকল্প হিসেবে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়। সমুদ্র তীরে তিমির মৃতদেহগুলো ফেলে রাখা হয়েছে, যেন সেগুলোতে স্বাভাবিক পচন ধরে এবং তা প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যায়।'

সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতি বছর নিউজিল্যান্ডে প্রায় ৩০০ তিমি মারা যায়। চ্যাথাম দ্বীপপুঞ্জে তিমির এমন মৃত্যু অস্বাভাবিক কিছু নয়। ২০১৭ সালে প্রায় ৭০০ তিমি আটকা পড়েছিলো। তিমিগুলো কেনো সমুদ্রতীরে আসছে তা এখনও স্পষ্ট নয় বিজ্ঞানীদের কাছে। তবে, তাদের ধারণা খাবারের খোঁজে পথ ভুলে তীরে এসে আটকা পড়ছে তিমিগুলো।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password