যেমন বাবা তেমন তার মেয়ে

যেমন বাবা তেমন তার মেয়ে

“লাইক ফাদার, লাইক ডটার”- প্রবাদটিকে যেন প্রতিপদে প্রমাণ করে চলেছেন জনি কন্যা জেমি লিভার। মেয়ে কমেডি সেন্সের দিক থেকে বলে বলে গোল দিতে পারেন বাবাকে। তবে একজন স্টারকিড হওয়া সত্বেও মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ থেকে বলিউডের অন্যতম কমেডিয়ান হয়ে ওঠার জার্নিটা খুব একটা সহজ ছিল না জেমির পক্ষে। আজ আমাদের আলোচনার মূল উপজীব্য বিষয় হলো এই “কমেডি-কন্যে”!

১৯৮০ সালে ১০ই সেপ্টেম্বর দেশের অন্যতম জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা জনি লিভারের এই অনুজার জন্ম হয়। ছোটবেলার পড়াশোনা মুম্বাইতেই সম্পন্ন করলেও, উচ্চশিক্ষার জন্য লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টমিনিস্টার থেকে মার্কেটিং কমিউনিকেশনের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন জেমি।

পরবর্তীতে লন্ডন-বেসড একটি কোম্পানিতে ক্যারিয়ার শুরু করলেও কমেডি ছিল তার রক্তে, তাই ধীরে ধীরে বোম্বাই বিভিন্ন এর স্ট্যান্ড-আপ কমেডি শোতে কাজ করতে শুরু করেন এই aspiring কৌতুক অভিনেত্রী। ২০১২ সালে “কমেডি সার্কাস কে মহাবালি” শো এ নিজের প্রতিভা প্রদর্শনীর মাধ্যমে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন তিনি। তবে তার ক্যারিয়ারে ব্রেকথ্রু আছে আব্বাস-মাস্তান পরিচালিত কপিল শর্মার সিনেমা “কিস কিস কো পেয়ার দু”তে অভিনয়ের মাধ্যমে।

২০১৫ সালে ক্রিটিক্স মহলে এই মুভিতে অভিনেত্রীর অভিনয় ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে বলিউডে অবস্থান করলেও জনপ্রিয়তার শিখর ছুঁতে তাকে পায়ের ঘাম মাথায় ফেলতে হয়েছিল। বর্তমানে জেমি “সাবসে বাডে আর্টিস্ট” রিয়েলিটি শো এর হোস্ট হিসেবে কাজ করছেন।

পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন শর্ট কমেডি রিল তৈরীর মাধ্যমেও দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন নিজের রসদটুকু। কিছুদিন আগেই কপিল শর্মা শো হতেও দেখা গিয়েছিল জনি লিভার কন্যে জেমিকে। তবে বাবার পথকে পাথেয় করেই তিনি যে বলিউডের একজন লম্বা রেসের ঘোড়া হিসেবেই চিহ্নিত হতে চান এ কথা বলার আর অপেক্ষা রাখে না!

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password