যশোরে এক সন্তানের জননীর শরীরে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা

যশোরে এক সন্তানের জননীর শরীরে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা

যশোরে শিরিনা বেগম নামে এক সন্তানের জননীর শরীরে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের স্বামী জুয়েলকে ঘটনায় দায়ী করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। ঘটনাটি মঙ্গলবার দুপুরের দিকে যশোর সদরের আরবপুর এলাকায় ঘটে। পুলিশ বলছে, গৃহবধূ মৃত্যুর ঘটনায় দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। পুলিশ ও স্বজনরা জানান, যশোর সদর উপজেলার আরবপুর মাঠপাড়া এলাকার বাসিন্দা জুয়েল সরদার প্রথম স্ত্রী পলি খাতুনের মৃত্যুর পর আড়াই বছর আগে পলির ফুফাতো বোন শিরিনকে বিয়ে করেন।

বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে সাংসারিক বিষয়াদি নিয়ে প্রায়ই গোলযোগ হতো। শিরিনের পিতা ও ভাইদের অভিযোগ পারিবারিক গোলযোগের জের ধরে গেল মঙ্গলবার দুপুরে নিজ ঘরে শিরিনকে গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে দেয় তার স্বামী জুয়েল সরদার। এরপর তার চিৎকারে পাশের লোকজন ছুটে এলে জুয়েল প্রতিবেশীদের নিয়ে স্ত্রীকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে দুপুরেই তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

পরে বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শিরিনের পিতা খলিলুর রহমানের দাবি, তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং গা-ঢাকা দিয়েছে জুয়েল। আমরা এ হত্যার বিচার চাই। অবশ্য হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বামীর পরিবারের লোকজন। জুয়েলের মা আমেনা বেগম জানান, শিরিন নিজেই ঘরে থাকা মোটরসাইকেলের পেট্রল গায়ে ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আমরা খবর পেয়ে ছুটে আসি।

এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। জুয়েলের প্রথম পক্ষের ছেলে সিয়াম সরদার বলেন, দুপুরে আব্বু আম্মু ঝগড়া করে। এরপর আম্মু ঘরে থাকা মোটরসাইকেলের পেট্রল নিজ গায়ে ঢেলে গ্যাসলাইট দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, আগুন লাগার পর চিৎকার শুনে আমরা ঘর থেকে বের হই। শিরিন বলছিল  ভাবি আমি কী ভুল করলাম। আমার ঘাড়ে শয়তান লেগেছিল। আমার ছেলের কী হবে। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম জানান, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। দুটি পরিবারই পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে। 

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password