২৭ জুলাই বিএনপির মহাসমাবেশ

২৭ জুলাই বিএনপির মহাসমাবেশ
MostPlay

আগামী ২৭ জুলাই ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আগামী ২৭ জুলাই ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। শনিবার (২২ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এটা ব্যতিক্রম সমাবেশ, তরুণরা জেগে উঠেছে সমাবেশের মাধ্যমে। আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ একদিকে স্যাংশনস দিচ্ছে গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্রগুলো। অপরদিকে তারা অন্যায়-অবিচার অব্যাহত রেখেছে। নির্বাচনকে তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে রাতারাতি পাল্টিয়ে ফেলা হচ্ছে ডিসি এবং এসপিদের। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশ্বস্তদের দিয়ে সাজানো হচ্ছে প্রশাসন।

তিনি বলেন, এ সরকার অন্যায়ভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় বসে আছে। সরকার বড় বড় কথা বলছে, তারা নাকি ক্ষমতায় আসলে গণতন্ত্র আসে, জনগণের অধিকার ফিরে পায়। দেশবাসী দেখেছে ২০১৪ কীভাবে অনির্বাচিতদের দ্বারা সংসদ নির্বাচিত হয়েছিল। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে কীভাবে হয়েছিল।

আওয়ামী লীগ সরকার আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে রাতারাতি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা বাতিল করেছে। এ বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে জয়ী হতে পারবে না। তারা দেশের অনেক ক্ষতি করেছে, যা আগে কোনো সরকার করেনি। এরা দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে। এরা গণতন্ত্রবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী। তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিলেন, আমাদের মাফ করে দেন। ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়াবো, ঘরে ঘরে চাকরি দেবো।

আজ কি ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়া হয়েছে? মানুষ কি ১০ টাকা দরে চাল পাচ্ছে? পাচ্ছে না। চাকরি তারাই পাচ্ছে, যারা আওয়ামী লীগ করে, অথবা ২০ লাখ টাকা ঘুসের বিনিময়ে চাকরি হচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভালো ভোটের আলামত দেখতে পেলাম ঢাকা-১৭ আসনে। বেচারা হিরো আলমকে কীভাবে মারধর করা হলো। হিরো আলম বাচ্চা ছেলে, খুব কষ্ট পেলাম। আওয়ামী লীগ তাকেও ভোট করতে দেয়নি। এরা কাউকে সহ্য করতে পারে না। এরা দেশটাকে মনে করে বাপের তালুকদারি।

এরা সাধারণ মানুষের টাকা চুরি করে বিদেশে পাচার করছে, দেশটাকে ফোকলা বানিয়ে ফেলেছে। বিদ্যুৎ নেই। শুধু বিদ্যুৎখাত থেকেই ১৪ লাখ কোটি টাকা তারা লুট করেছে। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। ঢাকা ছাড়া কোথাও বিদ্যুতের দেখা পাওয়া যায় না। কৃষক ভাইয়েরা সেচের জন্য বিদ্যুৎ পান না। এখন আর কোনো বক্তব্য নেই, দাবি আদায়ের পালা। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ডেঙ্গুর চিকিৎসার বেহাল অবস্থা, হাসপাতালে সিট নেই। মশা মারার ব্যবস্থা নেই।

তারা জনগণের পকেট থেকে টাকা কাটতে ব্যস্ত। তিনি বলেন, এ সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, তা শুধু বিএনপি নয়, বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। জাতীয় পার্টি এবং ইসলামী আন্দোলনও বলেছে, এ সরকার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কখনই সম্ভব নয়। মির্জা ফখরুল এসময় খালেদা জিয়া, বিএনপি নেতা রফিকুল আলম মজনু, সাইফুল ইসলাম নিরব, শেখ রবিউল আলম রবি, আব্দুল মোনায়েম মুন্না, ইউসুফ বিন জলিল কালু, এস এম জাহাঙ্গীর, মিয়া নূরুদ্দিন অপু, গোলাম মাওলা শাহীন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জয়নাল হোসেনসহ কারাবন্দি সব নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password