হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ

হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ
MostPlay

হবিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ বিএনপির তিন নেতাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে দুজন আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। অপরদিকে গুরুতর আহত সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে আমাদের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বিএনপির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সমাবেশের ডাক দেয় আওয়ামী লীগ। বিকালে জেলা শহরের শায়েস্তানগর পয়েন্টে এ সমাবেশের ডাক দেয় দলটি। সমাবেশ শেষে মিছিল বের করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

মিছিল নিয়ে জেলা বিএনপি অফিসের সামনে গেলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ রিপোর্ট লেখার সময় সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উভয়পক্ষে সংঘর্ষ চলছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। এদিকে সংঘর্ষ নিয়ে বিএনপি ও পুলিশ একে অপরকে দোষারোপ করছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউছ জানান, এটি পরিকল্পিত একটি হামলা। পুলিশ শুরু থেকেই উস্কানি দিয়েছে। শান্তিপূর্ণ মিছিলের শেষে তারা হঠাৎ আক্রমণ চালায়। তিনি বলেন, আমাদের মেরেছে। নেতাকর্মীদের গুলি করে আহত করেছে। আমার বাসায় গুলি করেছে। এখন আবার আমাদের বিরুদ্ধেই মামলা দিচ্ছে। এসব মিথ্যা মামলা দিয়ে আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। হামলা করে আন্দোলন থামানো যাবে না।

তিনি আরও বলেন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম আওয়াল ও যুবদল নেতা নূর উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে সিলেটে আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন। আরেক যুবদল নেতা আমিন শাহর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তারা হচ্ছেন- পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম আওয়াল, যুবদল নেতা আমিন শাহ, নূর উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা সৈয়দ আশরাফ আহমেদ, মনিরুজ্জামান, অলিউর রহমান অলি, সাইফুল রহমান বাবু, সাবের আহমেদ ও অনিক হাসান। এদিকে গ্রেফতার আতঙ্কে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান জানান, বিএনপি শুরুতে শান্তিপূর্ণভাবেই মিছিল করছিল; কিন্তু হঠাৎই তারা মারমুখী হয়ে উঠে।

মূলত তাদের উদ্দেশ্য ছিল থানায় আক্রমণ করা। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তারা সন্ত্রাসী এনেছে। তিনি বলেন, আমরা প্রথমে সহনশীল ছিলাম। প্রথমে কিন্তু আমরা পিছু হটেছি; কিন্তু তারা একের পর এক আক্রমণ করে চলেছিল। কোনো উপায় না পেয়ে আমরা কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছি। পরিস্থিতি শান্ত করতে আমাদের ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। সংঘর্ষে আমাদের অন্তত ৪০ জন পুলিশ আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রোববার ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, শনিবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করে। কর্মসূচিতে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। শুরু থেকে কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ছিল; কিন্তু কর্মসূচি শেষে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password