রূপগঞ্জে গরম পানি ঢেলে যুবককে নির্যাতন

রূপগঞ্জে গরম পানি ঢেলে যুবককে নির্যাতন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার করতে স্থানীয় কলি বাহিনীর সন্ত্রাসীরা নিরীহ মানুষের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শরীরে গরম পানি ঢেলে বর্বর নির্যাতন করা হয় এক যুবককে। আরেকজনকে রাম দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সোমবার (৮ মার্চ) সকালে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভা এলাকায় এ তাণ্ডব চালানো হয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, দিনে-দুপুরে এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করছে কলি বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। ব্যবসায়ীদের বাড়িঘরে গিয়ে প্রকাশে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। একের পর এক সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটানো হলেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সুত্র জানায়, কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলির নেতৃত্বে রবিউল, শান্ত, মতিউর, ইসলাম উদ্দিন, মনজুর আলম, বাবু, রোবেল, টুটুল, নির্জন, আলামিন, মাহফুজ, শাকিল, আতাউর, কাকন, ইমনসহ সন্ত্রাসী বাহিনী এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে একের পর এক তাণ্ডব চালিয়ে আসছে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে কাঞ্চন বাজার এলাকার মন্ডলের বাড়ির সামনে কালাদি এলাকার মৃত শহিদুল্লার ছেলে আব্দুর রহমানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে কলি বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সুকুমারের বাড়ির সামনে থেকে ধরে নিয়ে রানীপুরা এলাকার মৃত সিদ্দিক ভূঁইয়ার ছেলে নাঈম ভূঁইয়ার শরীরে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দেয়া হয়। তাদের দুজনকেই মুমূর্ষু অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, কালাদি এলাকায় অবস্থিত এফ খান ফিলিং স্টেশনের সামনে ফেলে কলি বাহিনীর সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পশ্চিম কালাদি এলাকার হাজি মোজাম্মেল হকের ছেলে শাহিন মিয়া ও ত্রিশ কাহনিয়া এলাকার আব্দুল আলীর ছেলে রিফাতের ওপর হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা দুজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। কাঞ্চন পৌরসভা কার্যালয়সহ কাঞ্চন বাজার এলাকায়ও মহড়া দেয় তারা। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

সকালে কাঞ্চন বাজারের ব্যবসায়ী তোফায়েল আহাম্মেদের বাড়িতে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে হুমকি দেয়া হয়েছে। এর আগেও কলি বাহিনী বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

আহতরা জানান, কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র আলহাজ রফিকুল ইসলাম রফিক একজন ভালো মানুষ। তারা মেয়রের ভালো কাজে সহযোগিতা করতেন। এ কারণেই কলি বাহিনীর সন্ত্রাসীরা এসব ঘটনা ঘটিয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সন্ত্রাসীদের ভয়ে এখন কাঞ্চন বাজারে সাধারণ মানুষ আসতে চায় না। ভোলাব তদন্ত কেন্দ্র ও কাঞ্চন ফাঁড়ি পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করছে। একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মামলা হলেও অভিযুক্তদের রহস্যজনক কারণে পুলিশ গ্রেফতার করছে না।

এ ব্যাপারে কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম রফিক বিডি টাইপকে বলেন, ‘আমি কাঞ্চনকে (কাঞ্চন পৌরসভা) শান্ত রাখতে চাই। আর গোলাম রসুল কলির নেতৃত্বে তার বাহিনী অশান্ত রাখতে চায়। প্রশাসন যেন কোনো সন্ত্রাসীকে ছাড় না দেয় সেই দাবি জানাই। আমিও যদি অন্যায় করি আমার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হোক।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত গোলাম রসুল কলির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির বলেন, ‘কলি বাহিনীর সদস্যরা অতিরিক্ত করছে। এখন থেকে আর ছাড় নয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password